ঢাকা – কক্সবাজার – ঢাকা
✅প্যাকেজ মূল্যঃ ২,৫৫০ টাকা (জনপ্রতি), পিক আওয়ার
✅প্যাকেজ মেয়াদঃ৩ রাত ২ দিন
✅কোডঃ R-107
[সর্বনিম্ন ০৪ (চার) জনের গ্রুপ (দুই বেডের এক রুম)
ট্যুর প্ল্যানঃ
ঢাকা আরামবাগ থেকে রাতে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়বে। ইনশাআল্লাহ ভোঁরে পৌঁছে যাবেন কক্সবাজারে। কক্সবাজারে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় সব মালামাল লবিতে রেখে অল্প সময়ের জন্য আশে পাশে ঘুরে আসতে পারবেন যেহেতু হোটেল চেক-ইন দুপুর ১২ ঘটিকায়।
✅ ১ম দিনঃ কক্সবাজার হোটেলে পৌঁছে চেক-ইন ১২.০০ ঘটিকায়।
✅ ২য় দিনঃ হোটেল চেক-আউট ১১.০০ ঘটিকায়।
যাত্রা সমাপ্তিঃ
কক্সবাজার বাস কাউন্টার থেকে রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়বে। বাস ছাড়ার আগে আপনি আপনার সকল মালামাল নিজ দায়িত্বে গাড়িতে নিয়ে আসবেন।
প্যাকেজের অন্তর্ভুক্তঃ
✅ ঢাকা - কক্সবাজার - ঢাকা নন এসি বাস সার্ভিস।
✅ থ্রী ষ্টার মানের হোটেল রুম।
প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত নয়ঃ
✅কোন ব্যক্তিগত খরচ।
✅কোন ঔষধ।
✅কোন প্রকার দুর্ঘটনা জনিত বীমা।
✅প্যাকেজে উল্লেখ করা হয়নি এমন খরচ।
কাপল পলিসিঃ
২জন/ কাপল রুম এর জন্য পিক আওয়ারে ৫০০ টাকা এবং সুপার পিক আওয়ারে ১,০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হবে।
চাইল্ড পলিসিঃ
১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বাচ্চার বাসের সিট এবং হোটেল রুম বাবা-মার সাথে শেয়ার করলে কোন প্রকার চার্জ প্রযোজ্য নয়।
বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়ঃ
১- একটি ভ্রমন পিপাসু মন থাকতে হবে।
২- ভ্রমনকালীন যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
৩- ভ্রমন সুন্দরমত পরিচালনা করার জন্য সবাই আমাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করবেন আশা রাখি।
৪- আমরা শালীনতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
৫- অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যেটা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
৬- বাংলার অভিযাত্রী ইকো টুরিজম এ বিশ্বাসী, টুরে যেয়ে প্রকৃতির কোন রকম ক্ষতি আমরা করবনা। কোন অপচনশীল বর্জ্য যেমন প্লাস্টিক প্যাকেট, বোতল যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলব ও ক্ষেত্রবিশেষে সাথে করে নিয়ে আসব। স্থানীয় জনবসতির সাথে বন্ধুত্বপূণ আচরন করব এবং যথোপযুক্ত সস্মান প্রদর্শন করব।
৭- কোন প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না।
বি.দ্রঃ উপরে উল্লেখিত মূল্যে প্যাকেজ সেবা নিতে চাইলে পিক আওয়ারে ১৫ দিন এবং সুপার পিক আওয়ারে ৩০ দিন পূর্বে বুকিং করুন। নির্ধারিত সময়ের পর বুকিং দিতে চাইলে জনপ্রতি অতিরিক্ত ৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে।
কক্সবাজার (Coxbazar)
উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের পেছনে ফণা তুলে আসে ঢেউ, সারি সারি ঝাউবন, দিগন্তজোড়া বিস্তীর্ণ বালুকণা, সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া একেকটি ঢেউ। সমূদ্রের মনভোলানো নানান রোমাঞ্চ মুহূর্তে ভুলিয়ে দেয় পর্যটকদের সব ক্লান্তি। তাইতো দিন গড়াতেই তার বুকে জমে পর্যটকের উপচে পড়া ভীড়। আর তা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। দেশের ভিতরে কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে দেখা যায় প্রথমে অবশ্যই কক্সবাজারের নাম এসে যায়। কেবল মাত্র দেশীয় পর্যটকই নয়, বিদেশ থেকেও প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসেন। তবে কিছু বিষয় মেনে কক্সবাজার ঘুরতে গেলে এই খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। কেননা কক্স-বাজার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার কারণে কক্সবাজার ভ্রমণ খরচ নেহায়তই কম নয়। যে কোন স্থানের ভ্রমণের খরচ মূলত নির্ভর করে নিজের উপরেই। সেই রোমাঞ্চ উপভোগ করার জন্যই বিডি ট্যুর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড দিচ্ছে অতি সল্প মূল্যের চমৎকার কিছু ভ্রমণ প্যাকেজ। যে কেউ ঘুড়ে আসতে পারেন, বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে।
{দর্শনীয় স্থান সমূহ:}
সমুদ্র সৈকতঃ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত (sea beach)। ১২০ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এ সমুদ্র সৈকতে বৈশিষ্ট হলো, পুরো সমুদ্র সৈকতটি বালুকাময়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত একটি মায়াবী ও রূপময়ী সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ এর রূপ পরিবর্তন করে। শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা কিংবা বসন্ত এমন কোন সৃজন নেই সমুদ্র সৈকতের চেহারা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রত্যুষে এক রকম তো মধ্যাহ্নে এর রূপ অন্য রকম। গোধুলি বেলার বীচের হাওয়া আর রাতের আবহাওয়ার মাঝে রয়েছে বৈচিত্র। তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান।
বীচ (beach)
কক্সবাজারের প্রধান আকর্ষন হচ্ছে সমুদ্র সৈকত। সৈকতের সবচেয়ে জাঁকজমক বীচ হচ্ছে সুগন্ধা (sugandha beach), লাবনী (laboni beach cox's bazar), কলাতলী সী বীচ (kolatoli sea beach)। পরিস্কার ঝকঝকে পরিবেশ আর নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। বীচের তীর ঘেষে রয়েছে ইজি চেয়ারে শোয়ার ব্যাবস্হা। চা-কফি-ডাব-মুড়ি-বাদাম সবই পাওয়া যায়। বীচের সুন্দর্য রক্ষার জন্য ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। এছাড়া স্পীডবোট, বীচ-কার, ঘোড়ায় চড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সার্বোক্ষনিক ট্যুরিস্ট পুলিশ।
হিমছড়িঃ (Himchori)
কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরেই পাহাড়ের কোল ঘেঁষে রয়েছে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র, হিমছড়ি। এখানে সৈকতের চেয়েও আকর্ষণীয় হলো এর ভ্রমণ পথ মেরিন ড্রাইভ। একপাশে তার সমুদ্র অন্য পাশে বিশাল পাহাড়ের সারি। হিমছড়ি পাহাড়ের হিম শীতল ঝর্ণাও বেশ আকর্ষণীয়। হিমছড়ির পাশেই সৈকতে দেখা মিলবে হাজারো লাল কাকড়া। কক্সবাজার সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট জীপ, সি এন জি, অটো রিক্সায় চড়ে হিমছড়ি যাওয়া যায়।
ইনানী বীচঃ (Inani Beach)
বিশ্বের দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকতের ইনানী সী-বীচ পর্যটকদের ভ্রমনে অন্যরকম আনন্দ এনে দেয়। কক্সবাজার থেকে ২৭ কিলোমিটার আর হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ইনানী সমুদ্র সৈকত (Inani Sea Beach)। ভাটার সময় ইনানী সমুদ্র সৈকতে সেন্টমার্টিনের মত প্রবাল পাথরের দেখা মিলে। এখানে সমুদ্র কক্স-বাজার সী-বীচ থেকে তুলনামূলক ভাবে শান্ত থাকায় পর্যটকদের আরো বেশী বিমোহিত করে। বিকেল বেলায় ইনানী সী-বীচ সৈকত ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়। বিকেল বেলায় পর্যটক তুলনামূলক কম থাকায় ইনানী সী-বীচে অপূর্ব সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা পরবর্তীতে আপনার আফসোসের কারণ হতে পারে। এছাড়া টেকনাফ গামী মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে ইনানী বীচে যাবার সময় হিমছড়ির পাহাড়, সমুদ্র তীরের সাম্পান, নারিকেল ও ঝাউবন গাছের সারি আর চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আপনার ভ্রমণের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে মন প্রফুল্ল হয়ে উঠবে।
(বার্মিজ মার্কেট Barmis Market)
কক্সবাজারের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হল বার্মিজ মার্কেট। বার্মার একদল আদিবাসী এখানে থেকে তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করে। বার্মা ছাড়াও চীন এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য এই মার্কেটে পাওয়া যায়। আপনি স্থানীয়ভাবে চন্দন দিয়ে তৈরি প্রসাধনী সামগ্রী, হাতে বোনা কাপড় এবং বিছানার চাদর কিনতে পারেন এই মার্কেট থেকে।এছাড়াও বিভিন্ন সুস্বাদু আচার,চকলেট পাওয়া যায়।
কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামঃ (Cox's Bazar Sheikh Kamal Stadium)
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন করপোরেশনের গলফ মাঠে নির্মিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ৫১ একর জমিতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এটির নামকরণ করা হয়েছে ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম’।
বৃহত্তম রাবার বাগান (Rabar Bagan)
ছোট বড় পাহাড়, টিলা আর বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি জুড়ে সারি সারি রাবার গাছ যেন সারি সারি সবুজের হাতছানি। নানা রূপ বৈচিত্র ও অনন্য শিল্পসত্ত্বায় পরিপূর্ণ রামুরসাজানো গুছানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে এ বাগান যেন আরেক আশ্চর্য সুন্দর। এটিই দেশের অন্যতম রামু রাবার বাগান (Ramu Rubber Bagan)।
আইসোলেটেড নারিকেল বাগান (Isolated coconut gardens)
আইসোলেটেড নারিকেল বাগান (Isolated coconut gardens) কক্সবাজারের রামু উপজেলায় অবস্থিত আইসোলেটেড নারিকেল বাগান এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ। সড়কের দু’পাশে শুধুই নারিকেল গাছ। সবুজে ঘেরা বাগানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছে ঝুলছে নারিকেল ও ডাবের থোকা। প্রায় আড়াইশ একর আয়তনের এ নারিকেল বাগানাটিতে রোপন করা হয়েছিল ৬০০ শ্রীলংকার কিংটন এবং মালেশিয়ার ডোয়ারব জাতের উচ্চফলনশীল চারা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ভ্রমণের পাশাপাশি ঘুরে আসতে পারেন এ নারিকেলের দেশে।