ঢাকা – কক্সবাজার – ঢাকা
সময়ঃ সুপার পিক
দিনঃ ৩ রাত ২ দিন
হোটেলের মানঃ ৩ স্টার মানের (এসি হোটেল)
খাবারঃ নেই
পরিবহনঃ নন এ.সি বাস সার্ভিস
প্যাকেজ মূল্যঃ জনপ্রতি ২,৯৯০ টাকা {সর্বনিম্ন ০৪ (চার) জনের গ্রুপ, (দুই রুম বিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট)}
কোডঃ COR-115
{ভ্রমণ সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ}
সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার। বিশ্বের সর্ববৃহৎম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বছরের পুরোটা সময় জুড়েই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হবার কারণে কক্সবাজার ভ্রমণ খরচ নেহায়তই কম নয়, অপরূপ সুন্দর বিশ্বের বৃহত্তম এই সমুদ্র সৈকতে যারা ভ্রমণ করতে চান । তবে কিছু বিষয় মেনে কক্সবাজার ঘুরতে গেলে এই খরচ অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব। যে কোন স্থানের ভ্রমণের খরচ মূলত নির্ভর করে আপনার উপরেই। যারা আর্থিক সচ্ছলতার কারনে কক্সবাজার ভ্রমন করতে একটু পিছুটান হয় যান তাই তাদের জন্য আমরা দিচ্ছি সুবর্ন্ সুজগের এই প্যাকেজটি। প্যাকেজটি কিনলে কম খরচে ঘুড়ে আসতে পারবেন কক্সবাজার।
দর্শনীয় স্হান:
কক্সবাজারের প্রধান আকর্ষন হচ্ছে সমুদ্র সৈকত। সবচেয়ে জাঁকজমক হচ্ছে সুগন্ধা বিচ এলাকা। পরিস্কার ঝকঝকে পরিবেশ আর নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। বিচের তীর ঘেষে রয়েছে ইজি চেয়ারে শোবার ব্যাবস্হা। চা-কফি-ডাব-মুড়ি-বাদাম সবই পাওয়া যায় এখানে কিন্তু কোন কিছু নিচে ফেলা যাবে না। এছাড়া স্পীডবোট, বিচকার, ঘোড়ায় চড়ার ব্যাবস্হা এসব তো রয়েছেই। তবে বিচে সবচেয়ে বিরক্তিকর পেশাদার ফটোগ্রাফারদের উৎপাত।
এছাড়া একটু দূরে ইনানী বিচের সৌন্দর্যও অবশ্যই প্রশংসনীয়। এখানে পানির মধ্যে রয়েছে বড় বড় সব পাথর। ভাটার সময় তাই উকি দেয়া পাথরই সৌন্দর্য ফুঁটিয়ে তোলে এখানকার। ইনানী বিচের লাল ডাবের স্বাদই অন্যরকম। ইনানী যাবার পথে দীর্ঘ মেরিন-ড্রাইভ অবশ্যই মুগ্ধ করবে আপনাকে। রাস্তার একদিকে পাহাড় আর অন্যদিকে সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত পুরোটা পথ সঙ্গ দিবে আপনাকে।
ইনানী বিচে যাবার পথেই দেখা মেলে হিমছড়ির এখানে রয়েছে মনোমুগ্ধকর এক ঝর্না। সিড়ি বেয়ে অনেক উঁচু পাহাড়ে উঠে কক্সবাজারের ভিউ দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে।সিড়ি দিয়ে উঠতে প্রথম দিকে মনে হয় এতো অল্প, পরে যেন ওঠার পথ আর শেষ হতে চায় না। অবশেষে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে বিমোহিত হয়ে যেতে হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে।এছাড়াও এখানে ছোট মার্কেট ও সুন্দর করে সাজানো বিচ রয়েছে যা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষন। এই পথেই রয়েছে সামুদ্রিক জীব-জন্তুর মিউজিয়াম।বেশ কিছু কমন-আনকমন জীবিত-মৃত প্রানী রয়েছে তাদের সংরক্ষনে।
*যাত্রা শুরুঃ কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়বে, ঢাকা আরামবাগ থেকে রাতে, ভোরে পৌছে যাবেন কক্সবাজারে।
কক্সবাজারে গিয়ে আপনার প্রয়জনী সব মালামাল লবিতে রেখে অল্প সময়ের জন্য আশে পাশে ঘুরে
আসতে পারবেন।
#প্যাকেরেজ অন্তরভূক্ত যা যা থাকছেঃ
* ঢাকা – কক্সবাজার নন-এসি বাস সার্ভিসের টিকিট (যাওয়া+আসা)
* থ্রী ষ্টারমানের হোটেল রুম
১ম দিনঃ ১) হোটেল চেক-ইন ১২.০০ ঘটিকায়।
৩য় দিনঃ ২) হোটেল চেক-আউট দুপুর ১২:০০ ঘটিকায়।
# প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত যা যা থাকছে নাঃ
* কোন ব্যক্তিগত খরচ
* কোন ঔষধ
* কোন প্রকার দুর্ঘটনা জনিত বীমা
যাত্রা শেষঃ কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেস্যে গাড়ি ছাড়বে, কক্সবাজার বাস কাউন্টার থেকে রাতে। বাস ছাড়ার
আগে অপনি আপনার সকল মালামাল নিজ দায়িত্বে গাড়িতে নিয়ে আসবেন।
বিঃদ্রঃ ট্যুর নিশ্চিত করতে ১৫ দিন আগে বুকিং মানি দিতে হবে ।