ঢাকা–সেন্টমার্টিন–ঢাকা
✅ প্যাকেজ মূল্যঃ ৭,৭৬২ টাকা, (জনপ্রতি), সুপার পিক।
✅ প্যাকেজ মেয়াদঃ ৪ রাত ৩ দিন
✅ কোডঃR-168
সর্বনিম্ন ০৪ (চার) জনের গ্রুপ (দুই বেডের এক রুম)
যাত্রা শুরুঃ
সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়বে ঢাকা আরামবাগ থেকে রাতে। ইনশাআল্লাহ ভোঁরে পৌঁছে যাবেন টেকনাফ, তারপর শীপ করে সরাসরি সেন্টমার্টিন পৌঁছেই হোটেল চেক-ইন।
১ম দিনঃ
★ হোটেল পৌঁছে চেক ইন দুপুর ১২:০০ ঘটিকায়- (সেন্টমার্টিন) এরপর কিছুক্ষন বিশ্রাম।
★ দুপুরের খাবার নিজস্ব হোটেলে-১:৩০ মিনিট-(সাদা ভাত, কোরাল মাছ, শুটকি ভর্ত, মিক্স ভেজিটেবল, ডাল, সালাদ)
★ রাতের খাবার-০৮:৩০ মিনিটে-(সাদা ভাত, সুন্দরী মাাছ /মুরগি ভুনা , বেগুন ভর্তা, মিক্স ভেজিটেবল, ডাল, সালাদ)
২য় দিনঃ
★ সকালের নাস্তা-৯:০০ মিনিটে-(পরটা, ডিম মামলেট, ডাল ভাজি, চা)/ ডিম খিচুরী।
★ যার যার মতো করে যেখানে সেখানে ঘুড়ে আসতে পারবেন। (নিচের উল্লেখিত দর্শনীয় স্থান গুলো)
★ দুপুরের খাবার -১:৩০ মিনিটে-(সাদা ভাত, ফ্লাইং ফিশ, আলু ভর্তা, মিক্স ভেজিটেবল, ডাল, সালাদ)
★ রাতের খাবার-০৮:৩০ মিনিটে-(সাদা ভাত, কোরাল মাছ/মুরগি ভুনা, মাছ ভর্তা, মিক্স ভেজিটেবল, ডাল, সালাদ)
৩য় দিনঃ
★ সকালের নাস্তা-৯:০০ মিনিটে-(পরটা, ডিম মামলেট, ডাল ভাজি, চা), এরপর যে যার মত ঘোরাঘুরি।
★ হোটেল চেক আউট সকাল ১১:০০ ঘটিকায়- (সেন্টমার্টিন)এরপর মালামাল হোটেল লবিতে রেখে কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি।
★ দুপুরের খাবার -১:০০ মিনিটে-(সাদা ভাত, ফ্লাইং ফিশ, আলু ভর্তা, মিক্স ভেজিটেবল, ডাল, সালাদ)।
যাত্রা সমাপ্তিঃ
সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ এর উদ্দেশ্যে শীপ ছাড়বে দুপুর ২:৩০ মিনিট থেকে ২:৪৫ মিনিট এর মধ্যে, অবশ্যই শীপ ছাড়ার আগে আপনি আপনার সকল মালামাল নিজ দায়িত্বে শীপ নিয়ে আসবেন এবং শীপ থেকে বাসে নিতে অবশ্যই ভুলবেন না। তারপরে আপনি পৌঁছে যাবেন টেকনাফ শীপ ঘাট বাস কাউন্টার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস ছাড়বে সন্ধ্যায়।
প্যাকেজের অন্তর্ভূক্তঃ
✅ ঢাকা - টেকনাফ - ঢাকা এ.সি বাস সার্ভিস।
✅ লাক্সারিয়াস হোটেল (২ রাত)
✅ টেকনাফ - সেন্টমার্টিন - টেকনাফ নন এসি শীপ।
✅ খাবার ৭ বেলা।
প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত নয়ঃ
✅ কোন ব্যক্তিগত খরচ।
✅ কোন ঔষধ।
✅ কোন প্রকার দুর্ঘটনা জনিত বীমা।
✅ প্যাকেজে উল্লেখ করা হয়নি এমন কোন খরচ।
কাপল পলিসিঃ
২জন/ কাপল রুম এর জন্য পিক আওয়ারে ৫০০ টাকা এবং সুপার পিক আওয়ারে ১,০০০ টাকা প্রতি রাতের জন্য অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হবে।
চাইল্ড পলিসিঃ
১ থেকে ৫ বছরের পূর্ব পর্যন্ত বাচ্চাদের বাসের সিট, শীপ সিট, খাবার এবং হোটেল রুম বাবা-মার সাথে শেয়ার করলে কোন প্রকার চার্জ প্রযোজ্য নয়।
বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়ঃ
১- একটি ভ্রমন পিপাসু মন থাকতে হবে।
২- ভ্রমনকালীন যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
৩- ভ্রমন সুন্দরমত পরিচালনা করার জন্য সবাই আমাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করবেন আশা রাখি।
৪- আমরা শালীনতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
৫-অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যেটা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
৬- বাংলার অভিযাত্রী ইকো টুরিজম এ বিশ্বাসী, টুরে যেয়ে প্রকৃতির কোন রকম ক্ষতি আমরা করবনা। কোন অপচনশীল বর্জ্য যেমন প্লাস্টিক প্যাকেট, বোতল যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলব ও ক্ষেত্রবিশেষে সাথে করে নিয়ে আসব। স্থানীয় জনবসতির সাথে বন্ধুত্বপূণ আচরন করব এবং যথোপযুক্ত সস্মান প্রদর্শন করব।
৭- কোন প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না।
বি.দ্রঃ উপরে উল্লেখিত মূল্যে প্যাকেজ সেবা নিতে চাইলে পিক আওয়ারে ১৫ দিন এবং সুপার পিক আওয়ারে ৩০ দিন পূর্বে বুকিং করুন। নির্ধারিত সময়ের পর বুকিং দিতে চাইলে জনপ্রতি অতিরিক্ত ৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে।
সেন্টমার্টিন (Saint Martin)
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গপোসাগরের মাঝে অসংখ্য প্রবাল রাশি মিলে মিশে একাকার হয়ে তৈরি করেছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। এর আয়োতন প্রায় দৈর্ঘ্য ৮ কিলোমিটার প্রস্থ ১ কিলোমিটার সাগরের সুনীল জলরাশি আর নারিকেল গাছের সারি এই দ্বীপকে দিয়েছে অপার সৌন্দর্য্য। প্রকৃতি যেন দু-হাত মেলে সৌন্দর্য্য ঢেলে দিয়েছে, বালুকাময় সৈকত, প্রবালের প্রাচীর আর কেয়া গাছের সারি এই দ্বীপকে দিয়েছে আলাদা এক বৈশিষ্ট্য যা আর কোথাও দেখা যায় না। উত্তাল সাগরের নোনা জল যখন আছড়ে পরে কেয়া গাছের ফাঁকে, ঝিরি ঝিরি বাতাসে তৈরি হয় সফেদ ফেনা, সে এক মন মাতানো দৃশ্য। রাতের জোৎসনা এসে যখন লুটোপুটি খায় চিকচিকে বালুর বুকে, নীল আকাশ তখন আরও নীলাভ হয়। সুনসান নিরব রাতে চারিদিকে শুধু সাগরের হুংকার আর ঢেউয়ের আছড়ে পড়া গর্জন। অপূর্ব, হাজারো জোৎসনা রাতের চেয়েও সুন্দর সেন্ট মার্টিনের একটি নির্ঘুম চাঁদনী রাত, এখানে সময়ের কাটা এগিয়ে চলে কিন্তু সৌন্দর্য্য পিপাসার তৃষ্ণা মেটে না। ইচ্ছে হলে বাই সাইকেল ভাড়া করে আপনি আপনার মতো পুরো সেন্টমার্টিন এর এই মনমূগ্ধকর স্থানগুলো ভালো করে ঘুরে দেখতে পারেন। টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিন প্রায় ৯ কিলোমিটার, মিয়ানমার থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে নাফ নদীর মোহনায় তাই এখানকার যাত্রাপথটি মন্দ নয়। গাংচিল আর ডলফিন দেখতে দেখতে এই ২ ঘন্টার ভ্রমনটি আপনার মুহুর্তেই কেটে যাবে। আর দূর সাগরের নীলাভ অথৈ পানির মাঝে যখন সবুজে ঢাকা দ্বীপটি আপনার দৃষ্টিগোচর হবে সারা রাতের দীর্ঘ্য ভ্রমনের ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে নিমিষেই। দ্বীপটি যতই কাছে আসতে থাকে আপনার ব্যকুলতা ততই বাড়তে থাকবে। ইচ্ছে করবে যেন সাগরে ঝাপ দিয়েই চলে যাই দ্বীপটিতে।
{দর্শনীয় স্থান সমূহ:}
সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতঃ (Saint Martin Somudro Soikot)
আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার, তীরে বাঁধা নৌকা, নান্দনিক নারিকেল বৃক্ষের সারি আর ঢেউয়ের ছন্দে মৃদু পবনের কোমল স্পর্শ, এটি বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপের সৌন্দর্য বর্ণনার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। বালি, পাথর, প্রবাল কিংবা জীব বৈচিত্র্যের সমন্বয়ে জ্ঞান আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্য অনুপম অবকাশ কেন্দ্র সেন্টমার্টিন। স্বচ্ছ পানিতে জেলি ফিশ, হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ, প্রবাল এ যেন বিশ্ব রহস্যের জীবন্ত পাঠশালায় পরিণত করেছে সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকাকে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।
ছেঁড়াদ্বীপ (Chera Dip)
ছেড়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এই দ্বীপটির অবস্থান। এর আয়তন প্রায় ৩ কিলোমিটার যা ২০০০ সালের শেষের দিকে সন্ধান পাওয়া যায়। সেন্টমার্টিন জেটি থেকে স্পিড বোর্ড কিংবা ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে ছেঁড়াদ্বীপে যেতে হয়। ছেঁড়াদ্বীপে দেখা যাবে অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সমুদ্রের ঢেউ, সারি সারি নারিকেল গাছ, প্রবাল পাথর ও পাথরের তৈরি বিভিন্ন কারুকার্য। এখানকার স্বচ্ছ জলের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো ধরনের প্রবাল এই প্রবাল এর ফাঁকে খেলা করতে দেখা যাবে নানা রঙ্গের মাছ সত্যিই সে এক দেখার মত দৃশ্য। চাঁদনী রাতে ছেড়া দ্বীপ সাজে তার অপরূপ সাজে। এ রাতে যেকোনো ভ্রমণকারীর মন ভরে যাবে ছেড়া দ্বীপের অপরূপ শোভা অবলোকন করে। বর্তমানে যত পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ পর্যটই ছেড়া দ্বীপ ঘুরতে আসেন।
মাথিন কূপ (Mathin Kup)
টেকনাফ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে নাফ নদীর পাশে টেকনাফ পুলিশ ফাঁড়ির চত্তরে এই মাথিন কূপের অবস্থান। ঐতিহাসিক ঘটনার কারণে এটি আজ দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়েছে। এই কুপের পেছনে রয়েছে একটি মর্মান্তিক প্রেম কাহিনী।
কালো রাজার সুরঙ্গ (Kalo Rajar Surongo)
এটি টেকনাফে অবস্থিত রহস্যময় একটি গুহা। বর্তমানে মানুষের আগ্রহের কারনে এই গুহা একটি ভাল মানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।