✅ প্যাকেজ মূল্যঃ ২৩,৯৯৯ টাকা (জনপ্রতি)
✅ প্যাকেজ মেয়াদঃ ৩ রাত ৪ দিন
✅ প্যাকেজ কোডঃ –DUB-R-201
ভ্রমণ বিস্তারিতঃ
★ ঢাকা থেকে সকালের ফ্লাইটে করে দুপুরে দুবাই এয়ারপোর্টে পৌঁছে ইমিগ্রেশন শেষ করে হোটেল চেক-ইন।
১ম দিনঃ
★ দুপুরের পর শারজা ক্রিক অথবা মামজার ক্রিক শেষ করে হোটেলে রাত্রি যাপন।
২য় দিনঃ
★ বুর্জ আল আরব, পাম জুমেরা, আটলান্টিস, দুবাই মেরিনা, ড্রাগন মার্কেট, দুবাই মল, ওয়াটার ফাউন্টেন নাচ এবং দুবাই সিটি ট্যুর পরিদর্শন করে রাতে হোটেলে অবস্থান করা।
৩য় দিনঃ
★ গ্র্যান্ড মস্ক ভ্রমণ আবুদাবি, কেনা কাটা করার সুযোগ থাকছে সন্ধা পর্যন্ত, (ডক্রুজ করতে চাইলে করতে পারবেন- চার্জ প্রযোজ্য)। পরিদর্শন শেষ করে হোটেলে রাত্রি যাপন।
৪র্থ দিনঃ
★ সিটির ২-৩ টি স্থান পরিদর্শন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে এয়াপোর্ট।
✅ প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন সার্ভিস সমূহ।
✅ অনাকাঙ্খিত খরচ যেমন: হরতাল, অবরোধ অথবা প্রাকৃতিক দূর্যোগজনিত কারণে ইত্যাদি।
সাথে যা নেওয়া প্রয়োজনঃ
★ রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস, সানক্যাপ।
★ বাইনোকুলার, ক্যামেরা
★ টুথপেষ্ট, টুথব্রাশ, তোয়ালে, কেডস, স্লিপার।
★ জরুরী ঔষধ পত্র (প্রেসক্রিপশন প্রোযজ্য)
চাইল্ড পলিসিঃ
১। ০ বছর থেকে ৫ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য হোটেলের বেড, গাড়ীর সিট বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে হবে।
২। ৫ বছর থেকে ১২ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য সকল খরচ দিতে হবে ৮০% করে।
শর্তাবলীঃ
১। সর্বনিম্ন ৪ জন হতে হবে যেহেতু পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
২। গ্রুপ এবং কর্পোরেট ট্যুরের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়!
৩। আমাদের নিয়োমিত এই প্যাকেজগুলো বছরের যে কোন সময় উপভোগ করতে পারবেন। শুধু বিশেষ বিশেষ ছুটির দিন ব্যতিত যেমনঃ ঈদের ছুটি, পূজার ছুটি ইত্যাদি।
৪। প্যাকেজের মূল্য যে কোন সময়ে পরিবর্তন যোগ্য।
বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়ঃ
১। একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
২। ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
৩। ভ্রমণ সুন্দর ভাবে পরিচালনা সাপেক্ষে সবার কাছে সর্বাত্মক সহায়তা আমাদের একান্ত কাম্য।
৪। আমরা শালীনতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
৫। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
৬। কোন প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না।
৭। সর্বোপরি বাংলাদেশের সম্মান হানী হয় এমন কোন কাজে লিপ্ত হবনা। যেহেতু আপনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিঃদ্রঃ ভ্রমণের নিকটবর্তী তারিখগুলোতে বিমান ভাড়া সব সময় বৃদ্ধি হতে পারে বিধায়, এই মূল্যের প্যাকেজ সেবা নিতে ১ মাস বা তার অধিক সময় পূর্বে বুকিং করুন।
দুবাই (Dubai)
দুবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি আমিরাত। আমিরাত হল এক প্রকার শাসন ব্যবস্থা যেখানে শাসক আমির নামে পরিচিত। দুবাই আরব আমিরাতের সাতটি প্রদেশ এর মধ্যে একটি প্রদেশে। এটি পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ তীরে আরব উপদ্বীপে অবস্থিত। দেশটির মোট আয়তন ৪১১৪ কিলোমিটার বা ১৫৮৮ বর্গ মাইল। জনসংখ্যা প্রায় ২১০৬১৭৭ জন। দুবাইয়ের প্রধান রাজস্ব আয় হচ্ছে পর্যটন, রিয়েল এস্টেট, তেল, গ্যাস, ইত্যাদি এছাড়া বিশ্বের নামীদামি সব ব্যবসায়ীরা ঘাঁটি গেড়েছেন এই দুবাই শহরে। দুবাই এখন স্বপ্নের শহর এই শহরের রয়েছে আকাশচুম্বী বড় বড় প্রাসাদ, সাগর কে শাসন করে তার মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে অসাধারণ পাম জুমেইরা আইল্যান্ড যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্টিফিশিয়াল আইল্যান্ড যার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০০১ সালে এবং ২০০৯ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়। এখানে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান। বুর্জ খলিফা নামে পৃথিবীর সবচেয়ে উচু বিল্ডিং, পৃথিবীর একমাত্র সাত তারকা হোটেল বুর্জ আল আরব এছাড়াও বিভিন্ন স্থাপনা। এক কথায় সৌন্দর্যের নিদর্শন এবং স্বপ্নের শহর এই দুবাই তাই চলুন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘুরে আসি দুবাই থেকে।
মামজার ক্রিক/বীচ (Mamjar crick)
মামজার ক্রিক, দুবাই ওপেন বিচ পার্ক আল মামজার বীচ টি দুবাই শহরের পাশেই অনেক সুন্দর একটি বিচ। বীচের পাশেই আছে ওপেন একটি পার্ক প্রায় ১০৬ হেক্টর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় এই পার্ক টি। বীচেরর অপর পাশে শারজা শহর। ফ্যামিলী ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘুড়ে বেড়ানোর একটি আদর্শ জায়গা, সপ্তাহের প্রতিদিনই ওপেন থাকে সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। আল মামজার বীচে চারটি প্রাচীন সৈকত পাশাপাশি পাম গাছের ছায়া এবং তার নিচে বসে বাতাস শরীরে লাগিয়ে বিচেরর সৌন্দর্য উপভোগ করা, এছাড়াও রয়েছে বীচ রাইডিং এর জন্য অনেক রাইড। ৩ টি সুইমিং পুল, বাচ্চাদের জন্য একটি থিয়েটার এবং বিভিন্ন খাবারের দোকান। সন্ধ্যায় পার্কটিতে ওপেন কনসার্টের ব্যবস্থা হয়ে থাকে।
বুর্জ খলিফা (burj khalifa)
বুর্জ খলিফা এটি আরব আমিরাতের দুবাই শহরে অবস্থিত বর্তমানে পৃথিবীর গগনচুম্বী অট্টলিকা বা উচ্চতম ভবন। এটি দুবাই টাওয়ার নামেও পরিচিত। ভবনটির উচ্চতা ৮২৮ মিটার বা ২৭১৭ ফুট ভবনটিতে বাসযোগ্য তলা ১৬৩ অ্যাপার্টমেন্ট ১০৪৪ টি। এই ভবনে আছে সুবিশাল সুইমিংপুল এছাড়াও ১৬০ কক্ষ বিশিষ্ট আবাসিক হোটেল। বুর্জ খলিফা এত উঁচু একটি ভবন যে নিচতলা আর সর্বোচ্চ তলার মধ্যে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত ৬ থেকে ৭ মিনিট কম বেশি হয় এবং তাপমাত্রার পার্থক্য ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ভবনটি ভিত্তিপ্রস্তর জানুয়ারী ২০০৪ সালে, নির্মাণ কাজ ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল এবং উদ্বোধন চৌঠা জানুয়ারি ২০১০ সাল ভবনটিতে মোট ব্যয় হয়েছিল ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলা টাকায় ১২৪৬৯ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। ভবনটির ১২৪ তম তলায় পর্যটকদের জন্য প্রকৃতি ধর্ষণের জন্য দারুন সুব্যবস্থা করা হয়েছে আর এখান থেকে পুরো শহরটি খুব ভালোভাবে পরিদর্শন করা যায় বলে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করে এবং তার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। ভবনটির চারদিকে মন মুগ্ধকর করে সাজানো গোছানো এবং সন্ধ্যায় ওয়াটার ফাউন্টেন ড্যান্স দেখে আপনার ক্লান্ত শরীর ও মন ভরে উঠবে অতি আনন্দে।
বুর্জ আল আরব (Burj al arab)
বুর্জ আল আরব সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল হোটেল এটি বিশ্বের চতুর্থ সুউচ্চ হোটেল তার উচ্চতা ১৯৭.৫ মিটার বা ৬৪৮ ফুট। ভবনটির ৫৬ তলা মোট কক্ষ সংখ্যা ২০০২ টি। হোটেলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় হাজার ৯৯৪ সালে এবং সম্পূর্ণ হয় ১৯৯৯ সালে। ভবনটিতে মোট ব্যয় হয় প্রায় ১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। সমুদ্রের তীর থেকে ২৮০ মিটার সমুদ্রের ভেতরে কৃত্রিম একটি দ্বীপের উপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে। আরবের পুরনো পালতোলা জাহাজের কাঠামোর অনুকরণে বানানো ভবনটি আরবের ঐতিহ্যের প্রতিনিধি। ডেইলি টেলিগ্রাফ এর বিলাস বহুল ভ্রমণ বিষয়ক ম্যাগাজিন আলট্রা ট্রাভেল এর পাঠকদের ভোটে বুর্জ আল আরব পৃথিবীর বিলাসবহুল হোটেল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এবং বেস্ট হোটেল ইন দা ওয়ার্ল্ড ও বেস্ট হোটেল ইন দ্য মিডল ইস্ট' ক্যাটাগরিতে খুব সম্মানজনক দুইটি পুরস্কার পেয়েছে। বর্তমানে বুর্জ আল আরব হোটেল টি দেখার জন্য প্রায় সারা বছরই লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন।
পাম জুমেরা (Palm jumeirah)
পাম জুমেরা দুবাই সরকারের মালিকানা দিন পরিকল্পিত একটি কৃত্রিম দ্বীপ মালা ও পর্যটন কেন্দ্র। এর দৈরর্ঘ্য ৫২০ কিলোমিটার (৩২০ মাইল) ২০০১ সালে এর কাজ শুরু হয়ে ২০০৭ সালে শেষ হয়। সমুদ্রের বুকে কৃত্রিম পাম আইল্যান্ড তৈরি করতে যে পরিমাণ ভালো লেগেছে তা দিয়ে আড়াইটা এম্পায়ার এস্টেট ভবন তৈরি করা যাবে। এই দ্বীপটি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ৯৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার বালু। এখানে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়ীরা নানা ব্যবসার কাজে এসে ওঠেন পাম জুমেরা হোটেল বা রিসোর্টগুলোতে। এখানকার চারপাশের রিসোর্ট গুলো গিনেজ বুকে নাম লিখিয়েছে তাদের আপন সক্রিয়তায় তা ছাড়াও এখানে রয়েছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। সব মিলিয়ে পাম জুমেরা মিনি এক পর্যটন দুনিয়া। একদিকে বিশাল আয়োজন অন্যদিকে কৃত্রিম দ্বীপ ও খোলা আসমান জানান দেয় মন সাগরে অবগাহনের।
দুবাই মারিনা (Dubai marina)
সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি জেলা দুবাই মারিনা, এটি একটি কৃত্রিম খাল শহর যা পার্সিয়ান উপসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৪ কিলোমিটার (২ বর্গ মাইল) দুবাই মারিনা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। এর জনসংখ্যা ২০১৬ সালের গণনা অনুযায়ী প্রায় ৪৫,৩৯৫ জন। মারিনা পুরোপুরি মানুষের তৈরি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রিয়েল এস্টেট ডেভলপমেন্ট ফার্ম ইমার প্রোপাইটিজ দ্বারা নির্মিত হয়েছে এবং তার ডিজাইন করেছেন হংকং এবং কানাডা। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর এটি বিশ্বের বৃহত্তম মানুষের তৈরি করা মারিনা বলে দাবি করা হয়। দুবাই মারিনার আশেপাশের দর্শনীয় স্থানসমূহ যেমন পাম জুমেয়ারিয়ার সমুদ্র সৈকত, জুমিরহা বীচ, আল মাজার, আল সাহাব, মারিনা প্রোমেনড, পার্ক দ্বীপ এবং দুবাই মারিনা মল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
Dubai water fountain dance
ফ্লার্টিং মিউজিয়াম ফাউন্টেন দুবাই ড্যান্সিং ওয়াটার ফিচার। এটি একটি সংগীত এবং নাচ ফোয়ারা, আপনার বিনোদন ছাড়াও আপনাকে রিফ্রেশ এবং আপনার ইন্দ্রিয় রোম্যান্স করতে destine পারে। জল, সংগীত ও আলো এটি একটি বিস্ময়কর অনুষ্ঠান যা আপনার ভ্রমনক্লান্তি দূর করে দিবে নিশ্চিত ভাবে। বিকেল থেকে ২০ মিনিট পর পর চালু করা হয় ৪ থেকে ৫ মিনিটের জন্য গানের সাথে সাথে পানির নাচ সাথে লাইটিং কি যে সৌন্দর্য দেখায় তা ছাড়া এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফাউন্টেন। বুর্জ খলিফার পেছনের দিকে এই ফাউন্টেন সামনে বেশ কিছু ফাউন্টেন রয়েছে, এছাড়া রাত্রে বুর্জ খলিফায়ে গানের সুরের সাথে সাথে লাইটিং করা হয় ২০ মিনিট পর পর এই কারণে ফাউন্টেন এর সৌন্দর্য বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
গ্র্যান্ড মসজিদ (Grand mosque)
গ্র্যান্ড মসজিদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত একটি মসজিদ, এটি মূলত ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের নির্মিত হয়েছিল তারপর আরো দুই একবার পূর্ন নির্মিত হয়েছে। মসজিদটি মূলত একটি মক্তব ছিল যেখানে পবিত্র কোরআন শরীফ শিক্ষা দেওয়া হতো। মসজিদটির উচ্চতর গঠন টি হল ৭০ মিটার (২৩০ ফুট) মিনার যা কিনা দুবাই এর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু মিনার এবং লাইট হাউজের প্রতিনিধিত্ব করে। মসজিদটির সব মিলিয়ে ৪৫ টি ছোট এবং ৯ টি বৃহৎ গম্বুজ এর সাথে লম্বা মিনারটি গ্র্যান্ড মসজিদের ছাদ ঢেকে রেখেছে। মসজিদটির দেয়াল, দরজা এবং জানালাগুলো অপূর্ব সব কারুকার্জের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে। প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন হয় এই মসজিদ টিতে। মসজিদটি দর্শনার্থীদের রক্ষণশীল পোষাক পরিধান করে পরিদর্শন করতে পারে তবে অমুসলিমদের মিনার ব্যতীত মসজিদের কোন অংশে প্রবেশ করার অনুমোদন দেওয়া হয় না। সর্বোপরি এ মসজিদটি দুবাইয়ের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।
খোর ফক্কান (khorfakkan)
খোর ফক্কান সংযুক্ত আরব আমিরাতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি শহর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাতটি প্রদেশের মধ্যে শারজা হল একমাত্র প্রদেশ যা পারস্য উপসাগর এবং ওমান উপসাগরের মুখোমুখি। আল ফুজাইরাহের পরে পূর্ব উপকূলে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। খোর ফক্কানের সুন্দর উপসাগরের উপর স্থাপিত, এখানে এই অঞ্চলের একমাত্র প্রাকৃতিক গভীর সমুদ্র বন্দর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের এটি একটি প্রধান কনটেইনার বন্দর। এখানে ফল, সবজি, মাছ এবং শুটকি প্রচুর পাওয়া যায় এখানে আরো আছে দেখার মত স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য খোর ফক্কান মসজিদ। চার তারকা সৈকত রিসোর্ট বা মহাসাগরীয় হোটেল এবং সমুদ্রের উপর সূর্যোদয় দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসছেন।
দিব্বা (Musandam Dibba)
দিব্বা ওমান উপসাগরের পূর্ব আরব উপদ্বীপের উত্তরদিকের উপকূলে উপকূলীয় অঞ্চল হলো দিব্বা। এটি উত্তর পূর্ব এশিয়ার পূর্ব উপকূলে এই বৃহৎ প্রাকৃতিক আশ্রয়টি পূর্ব ইসলামী যুগের পর থেকে সামুদ্রিক বাণিজ্য ও নিষ্পত্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দুবাই থেকে দিব্বা আল-ফুজাইরাহ পর্যন্ত দূরত্ব ১০৯ কিলোমিটার (৬৮ মাইল) দিব্বা আল-ফুজাইরাহ থেকে শারজার দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশাল আয়োজন বিশেষ করে জলে রাইটিং এর জন্য অনেক ধরনের রাইড এর সুব্যবস্থা রয়েছে এবং তা সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে।
রাস আল খাইমা (Ras al khaimah)
রাস আল খাইমাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাতটি প্রদেশ এর মধ্যে একটি প্রদেশ। রাস আল খাইমাহ প্রদেশটি দেশের সর্ব উত্তরে দুবাই থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রদেশটি অবশ্য দুবাই শারজার তুলনায় অনুন্নত। আয়তন প্রায় ১৬৮৪ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৩৪৫০০ জন(২০১৫ গণনা অনুযায়ী)। রাস-আল-খাইমা তে অনেক দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান সমূহ ice land, water park, dhayah fort, marjan island, jebl jais mountain এছাড়াও golden tulip হোটেল এবং ঝর্ণা দেখার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভিড় করেন।
আল আইন জাবালে হাফিদ (Al ain Jebel Hafeet)
জিবেল হাফিট কে বিভিন্নভাবে যেমন জাবাল জাবেল বা জিবাল এবং হাফিট বা হাফতে নামে ডাকা হয় আক্ষরিক অর্থে খালি পর্বত। আল আইন শহরের পরিবেশে একটি পর্বত আবুধাবির আমিরশাহের পূর্ব অঞ্চলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওমানের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। টিলাটির সর্বোচ্চ বিন্দু উচ্চতা ১২৪৯ মিটার (৪০৯৮ ফুট)। তাছাড়া জিবেল হাফিট একটি জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র যা সারা এলাকা জুড়ে চূড়ান্ত দর্শনের সাথে বিস্তৃত। পাহাড়ের পাদদেশে পর্যটক আকর্ষণ স্থানটি হরিণ মুবজ্জরা। এছাড়াও রয়েছে বাচ্চাদের খেলার জন্য একটি পার্ক ও ভাড়া করার জন্য বেশ কয়েকটি চালেট রয়েছে এবং সারা এলাকায় ছড়িয়ে থাকা সুইমিং পুল।
আল আইন যু(Al Ain Zoo)
আল আইন যু আলাইন চিড়িয়াখানা সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুদাবির আমির আল এনে জেবল হাফেটের তলদেশে অবস্থিত। প্রায় ৪০০ হেক্টর (৯৯০ একর) জায়গা জুড়ে এই চিরাখানা টি প্রায় ৫১ বছর পূর্বে ৭ এপ্রিল ১৯৬৮ সালে চালু করা হয়। চিড়িয়াখানাটিতে প্রায় চার হাজারেরও বেশি প্রাণীর আবাসস্থল এছাড়াও রয়েছে ঘূর্ণায়মান পাহাড়, খেলার মাঠ, পিকনিক স্পট, ফুলের বাগান, দেশীয় উদ্ভিদ বাগান, সবজি বাগান, ফলের বাগান এবং ঔষধি গাছ গাছলার বাগান ইত্যাদি। এছাড়াও আছে শিকারী পাখি এবং রাতের পাখির সমন্বিত একটি পাখি শো, আর আছে জিরাফ ফিডিং, উট রাইটিং এবং এলজবা পেটিং ইত্যাদি।