ঢাকা – মালয়েশিয়া – ঢাকা
✅ প্যাকেজ মূল্যঃ ৫৫,৯৯৯ টাকা (জনপ্রতি)।
✅ প্যাকেজ মেয়াদঃ ৭ রাত ৬ দিন।
✅ প্যাকেজ কোডঃ MAL-R-194
ভ্রমণ বিস্তারিতঃ
★ ঢাকা থেকে রাতের ফ্লাইটে করে সকালে কোয়ালালামপুর (kuala lumpur) এয়ারপোর্টে পৌঁছে, ইমিগ্রেশন শেষ করে মেলাকার উদ্দেশ্যে রওনা।
১ম দিনঃ
★ মেলাকা সাফারি পার্ক (malacca safari park), আশেপাশের আরো ২-৩ টি স্পট এবং সন্ধ্যায় মেলাকা কালচারাল লাইভ শো শেষ করে হোটেলে রাত্রি যাপন।
২য় দিনঃ
★ গেনটিং হাইল্যাণ্ড (genting highland), ক্যাবল কারে করে উঠা-নামা, বাটু ক্যাবস (Batu Caves) এন্ড টেম্পলার পার্ক (Templer Park) পরিদর্শন করে রাতে হোটেলে অবস্থান করা।
৩য় দিনঃ
★ কে এল টাওয়ার, টুইন টাওয়ার(twin tower), সানওয়ে লেগুন (sunway lagoon), রাজার বাড়ী পরিদর্শন করে হোটেলে রাত্রি যাপন করা।
৪র্থ দিনঃ
★ কোয়ালালামপুর থেকে গাড়িতে করে কলাপ্লেস এবং সেখান থেকে শিপে করে লাংকাভিতে পৌঁছে দুপুর পর্যন্ত সমুদ্রে গোসল করে বিকেলে আশে পাশের স্পটগুলো পরিদর্শন করে রাতে হোটেলে অবস্থান করা।
৫ম দিনঃ
★ ঈগল স্কয়ার(eagle square malaysia) এবং আশেপাশের স্পটগুলো পরিদর্শন করে হোটেলে যাওয়া।
৬ষ্ঠ দিনঃ
★ সকালে লাংকাভি(langkawi) থেকে শিপ যোগে কলাপ্লেস সেখান থেকে গাড়ীতে করে কোয়ালালামপুর গিয়ে কিছুক্ষন সময় কেনা-কাটা করার সুযোগ থাকছে। এরপর পর্তূজয়া পরিদর্শন করে সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা।
প্যাকেজের অন্তর্ভুক্তঃ
✅ বিমান টিকিট (আশা-যাওয়া)
✅ হোটেল: টাইম স্কয়ার (থ্রী ষ্টার)+লাংকাভিতে: কটেজ/বাংলো।
✅ সকালের নাস্তা ৫ দিন।
✅ পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস।
✅ সাইটসিং।
✅ গাইড সার্ভিস।
✅ ক্যাবল কারে উঠা-নামার টিকিট।
✅ লাংকাভি থেকে কলাপ্লেস আশা-যাওয়া শিপের টিকিট।
প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত নয়ঃ
✅ কোন ব্যক্তিগত খরচ।
✅ কোন ঔষধ।
✅ কোন প্রকার দুর্ঘটনা জনিত বীমা।
✅ দুপুর ও রাতের খাবার।
✅ সাফারি পার্কের টিকিট।
✅ সাওয়ের টিকেট।
✅ ভিসা প্রসেসিং।
✅ সকল প্রকার টিপস
✅ প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন সার্ভিস সমূহ।
✅ কালচারাল লাইভ শো এর টিকিট।
✅ অনাকাঙ্খিত খরচ যেমন ফ্লাইট ডিলে করা, ফ্লাইট ক্যান্সেল, হরতাল, অবরোধ অথবা প্রাকৃতিক দূর্যোগ জনিতকারণে ইত্যাদি।
সাথে যা নেওয়া প্রয়োজনঃ
★ বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে ছাতা বা রেইনকোট।
★ রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস, সানক্যাপ।
★ বাইনোকুলার, ক্যামেরা
★ টুথপেষ্ট, টুথব্রাশ, তোয়ালে, কেডস, স্লিপার।
★ জরুরী ঔষধ পত্র।
চাইল্ড পলিসিঃ
১। ০ থেকে ২ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য এয়ার টিকিটের মূল্যের ২০% দিতে হবে। হোটেলের বেড, গাড়ীর সিট বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে হবে।
২। ২ বছর থেকে ১২ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য এয়ার টিকিটের মূল্যের ৮০% দিতে হবে। ২ বছর থেকে ৫ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য হোটেলের বেড, গাড়ীর সিট বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে হবে।
৩। ৫ বছর থেকে ১২ বছরের পূর্ব পর্যন্ত বাচ্চার জন্য সকল খরচ দিতে হবে ৮০% করে।
শর্তাবলীঃ
১। সর্বনিম্ন ৪ জন হতে হবে যেহেতু পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
২। গ্রুপ এবং কর্পোরেট ট্যুরের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়।
৩। আমাদের নিয়োমিত এই প্যাকেজগুলো বছরের যে কোন সময় উপভোগ করতে পারবেন। শুধু বিশেষ বিশেষ ছুটির দিন ব্যতিত যেমনঃ ঈদের ছুটি, পূজার ছুটি ইত্যাদি।
৪। প্যাকেজের মূল্য যে কোন সময়ে পরিবর্তন যোগ্য।
বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়ঃ
১/ একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
২/ ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
৩/ ভ্রমণ সুন্দর ভাবে পরিচালনা সাপেক্ষে সবার কাছে সর্বাত্মক সহায়তা আমাদের একান্ত কাম্য।
৪/ আমরা শালীনতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
৫/ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
৬/ কোন প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না।
৭/ সর্বোপরি বাংলাদেশের সম্মান হানী হয় এমন কোন কাজে লিপ্ত হবনা। যেহেতু আপনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিঃদ্রঃ ভ্রমণের নিকটবর্তী তারিখগুলোতে বিমান ভাড়া সব সময় বৃদ্ধি হতে পারে বিধায়,এই মূল্যের প্যাকেজ সেবা নিতে ১ মাস বা তার অধিক সময় পূর্বে বুকিং করুন।
মালয়েশিয়াঃ (Malaysia)
মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়া ১৩ টি রাজ্য এবং ৩ টি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি মুসলিম দেশ মালয়েশিয়ার আয়তন ৩২৯৮৪৫ বর্গ কিলোমিটার, দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুর এবং পুত্রজয়া হল ফেডারেল সরকারের রাজধানী বা উপশহর। দক্ষিণ চীন সাগর দ্বারা দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত মালয়েশিয়ার স্থল সীমান্তে রয়েছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাই এর সমুদ্র সীমান্তে রয়েছে সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন। এদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৮ মিলিয়নের অধিক। দেশটির প্রধান আয়ের উৎসের মধ্যে একটি অন্যতম উৎস হলো ট্যুরিজম। তাই আমরা যদি অল্প খরচে হাতের নাগালে কোন দেশে গোড়ার কথা চিন্তা করি সবার আগে চলে আসবে মালয়েশিয়ার নাম। পুরো দেশজুড়ে দেখা যায় পাহাড় আর জঙ্গল প্রকৃতি যেন দুহাত মেলে দিয়েছে মালয়েশিয়ার পরতে পরতে চোখ ধাধিয়ে যাবে এবং মনে হবে দেশটির রাস্তা থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থাপনা যেন পর্যটকদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। মালয়েশিয়াতে তাই প্রতি বৎসর লাখো লাখো টুরিস্ট ভিড় করছে আর সরকারি নজরদারিতে পর্যটকদের সব ধরনের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মেলাকা সাফারি পার্ক(Malacca Safari Park)
মেলেকা সাফারি পার্ক মেলাকা হচ্ছে মালয়েশিয়ার প্রথম প্রাচীন শহর. আর এই শহরে গড়ে তোলা হয় মেলাকা সাফারি পার্ক. সাফারি পার্ক হলো বন্য প্রাণীর জন্য এমন একটি উন্মুক্ত ক্ষেত্র যেখানে প্রাণীরা খোলামেলাভাবে বিচরণ করতে পারে. সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণী থাকবে মুক্ত আর দর্শনার্থী থাকবে সুরক্ষিত গাড়িতে চড়ে সাফারি পার্ক পরিদর্শন করবে. সাফারি পার্ক এক প্রকার অভয়ারণ্য যা প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা জঙ্গল কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয় সাফারি কথাটার অর্থ হলো কোন দৃশ্যমান বেষ্টনী নয় অর্থাৎ সাফারি পার্কে এমন ভাবে প্রাকৃতিক বেষ্টনী তৈরি করা হয় যা দেখলে বোঝা যাবে না যে বেষ্টনী রয়েছে. এমন বেষ্টনী খুব সাধারণ উপাদানেই তৈরি করা হয় এবং তৈরির পর তা গাছপালা লতা পাতা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়. এখানে দেখতে পাবেন মন ভুলানো কিছু শো যেমন বার্ড শো. এনিমেল শো. লাইভ শো ইত্যাদি বার্ড শো তে নানা জাতের নানা বর্ণের পাখির গান ও বিভিন্ন ধরনের খেলা একবারে সুনিপুণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যা দেখে অপরিসীম আনন্দে. মন ভরে উঠবে ।এনিমেল শো তে দেখা মিলবে হাতির খেলা বানরের খেলা আরো অন্যান্য পশুপাখির খেলা আর লাইভ শো এর কথা না বললেই নয় যা দেখে আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবেন। ট্রাম গাড়িতে চড়ে পুরো সাফারী পার্কটি দেখা যাবে তাতে দেখা মিলবে জিরাফ, সিংহ, বাঘ, হাতি, উট, ভাল্লুক, পান্ডা, হায়ন্ হরিণ ইত্যাদি আরো দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সাপ কুমির ইত্যাদি।
সাফারি পার্ক লাইভ শো (Safari Park Live Show)
মেলাকা হলো মালয়েশিয়ার প্রাচীন শহর, আর এই শহরে গড়ে তোলা হয় মেলাকা সাফারি পার্ক। এখানে নানা ধরনের পাখি ও বন্যপ্রাণী দেখার পাশাপাশি পাখি এবং বন্যপ্রাণীর লাইভ শো দেখতে পাবেন। তবে এখানে আর একটি মনমুগ্ধকর লাইভ শো অনুষ্ঠিত হয় যা দেখার সময় মনে হবে আপনি ভিন্ন জগতে চলে গিয়েছেন। কারণ যারা লাইভ শোতে অংশগ্রহণ করেন তাদের অভিনয় এত নিখুঁত আর সুন্দর যে কখন সময় পার হয়ে শো টি শেষ হয়ে যাবে আপনি টেরই পাবেন না। মেলাকা সাফারি পার্কে এসে এই লাইভ শো টি যারা মিস করবেন তাদের সাফারি পার্ক এর অনুভূতি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এবং নিশ্চিতভাবেই এই লাইভ শো টি আপনার ভ্রমনক্লান্তি দূর করে দিবে এবং ওই সময়টাই হয়ে উঠবে অবিস্মরনীয়।
গেনটিং হাইল্যাণ্ড(Genting Highland)
গেন্টিং হাইল্যান্ড টি উলুকালি পর্বতের সর্বোচ্চ শিখরে ২০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পাহাং এবং সেলাংগর রাজ্যের সীমান্তে এই রিসোর্টটিতে বিনোদন বা আমোদ-প্রমোদের কোন শেষ নাই। এখানকার একটি বড় আকর্ষণ হল ঠান্ডা আবহাওয়া যেহেতু ২০০০ মিটার উচ্চতায়। গেন্টিং হাইল্যান্ড টি মালয়েশিয়ান এবং বিদেশী পর্যটকদের আনা-গোনা সারা বছর লেগেই থাকে কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে, পাহাড়টিতে গাড়ি এবং ক্যাবল কার দিয়ে যাওয়া যায়। গেন্টিং স্কাইওয়ে যেটা কিনা পৃথিবীর মধ্যে দ্রুতগামী এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দীর্ঘতম ক্যাবল কার। বিকেল হতে না হতে গেন্টিন আন্তর্জাতিক শোরুম বা প্যাভিলিয়ন জমজমাট হতে থাকে অসাধারণ সব চিত্তাকর্ষক অনুষ্ঠান দিয়ে। লোমহর্ষক ম্যাজিক শো বা আইস স্কেটিং, স্নোওয়ার্ল্ড এ আছে লগ কেবিন ইগলু ঘর, তুষার আচ্ছাদিত খেলার জায়গা যেখানে স্লেজ গাড়ির স্লাইডে ওঠা যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের রাইডিং করতে পারবেন। গেন্টিং হাইল্যান্ড রিসোর্ট ওয়াল্ড গেন্টিং একমাত্র আইনত বৈধ ভূমি ভিত্তিক ক্যাসিনো পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ।
ক্যাবল কার (Cable Car)
ক্যাবল কারে করে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ শূন্যে ভেসে গেন্টিং স্কাইওয়ে স্টেশনে পৌঁছতে সময় লাগবে প্রায় ৪০ মিনিট এবং নামার সময় ১৮৫ ফুট উপর থেকে ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেগে নিচে নেমে আসে মানুষ সমেত খাচাটা। অনেক উপরে তুলে বলে এই রাইডে চড়ে চারপাশের পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখা যায় বটে সাথে সাথে আতঙ্কেরও কোন শেষ নাই। ক্যাবল কারে পুরো সময়টাই হয়ে উঠবে অবিস্মরণীয় ভ্রমণের উপাখ্যান। নিচে তাকালে মনে হবে নানা আকার আর আয়তনের পাহাড় গুলোকে বাড়ির পাশের টিলার মত, মেঘদলের উপরে প্রতিফলিত হয়ে চোঁখ ধাঁধিয়ে দিবে সূর্যালোক। আর এক ঋতুর এই দেশে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়লে তো মেঘ অতিক্রম করেই এগুতে হবে কেবল কারের এই খাঁচাগুলোকে এবং মেঘ এসে ধাক্কা দিবে আর এই মেঘ মাখা যাত্রায় শরীর জুড়িয়ে দেবে শীতল বাতাসের হিমেল আদর।
কুয়ালালামপুরে দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে গুগলে সার্চ দিলে যে কয়টি জায়গার নাম আসে তার মধ্যে প্রথম দিকে আছে বাতু কেভস। বিশাল বিশাল পাহাড় এবং পাহাড়ের সামনের দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির প্রায় পাহাড় সমান এক সোনালী রঙের ১৪০ ফুট উঁচু মুরুগান মূর্তি, যা ১৮৯২ সালে তৈরি করা হয়। তার পাশ দিয়ে উঠে গেছে পাহাড় গেয়ে ২৭২ টি সিঁড়ি পার হয়ে উপরে উঠলে মূল গুহা, সেই গুহার মুখের রহস্যময়তাই সবাইকে সেখানে টেনে নিয়ে যায়। মজার বিষয় হচ্ছে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় বানরের দল এসে ঘিরে ধরবে ছোট ছোট বাচ্চা বানর থেকে শুরু করে বুড়ো বানরের পর্যন্ত দেখা মিলবে। পাহাড়ের উপর গুহার মুখ থেকে মূর্তিটি খুব সুন্দর উপভোগ করা যাবে।
এটি একটি অপরিসীম বিনোদনের স্থান এটা সাবেকি খনন জমির উপর ৪৪ একর এলাকাজুড়ে রয়েছে এই চমৎকার পার্ক টি। রিসোর্টটিতে ৪০টি আকর্ষণ রয়েছে এবং রিসোর্টিকে প্রায় ২৫টি পুরস্কারের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়েছে। রিসোর্টি ২৯ শে এপ্রিল ১৯৯৩ সালে শুরু হয়েছিল এটি কুয়ালালামপুর শহর থেকে প্রায় ২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত, এবং মালয়েশিয়ার প্রথম ওয়াটার বা জল থিম পার্ক। পার্কের ভিতরের শপিং মল টি পিরামিড হিসেবে পরিচিত যা পার্কের ভিতরে বিভিন্ন আকর্ষণীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এখানে বিনোদনের জন্য রয়েছে ওয়াটার পার্ক, “ওয়াটার অফ আফ্রিকা বা আফ্রিকার জল” হলো বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ওয়াটার রাইড যার নাম হলো ভুভুজেলা। আরো আছে বিনোদোন মূলক উদ্যান, বন্যপ্রাণী উদ্যান, এক্সট্রাটিম পার্ক এবং স্ক্রিম পার্ক ইত্যাদি।
কে এল টাওয়ার (KL Tower)
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত একটি টেলিযোগযোগের টাওয়ার। ভাবনটির নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল ৪ই অক্টবর ১৯৯১ সালে এবং সম্পূর্ণ হয়েছিল ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ সালে এবং উদ্ধোধন হয়েছিল ১লা অক্টবর ১৯৯৬ সালে। ভবনটির উচ্চতা ৪২১ মিটার (১৩৮১ ফুট) ভবনটির মাথায় একটি অ্যান্টেনা রয়েছে। অ্যান্টেনা সহ টাওয়ারটি মোট ৪২১ মিটার এবং এটি বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম মুক্তভাবে দন্ডয়মান টাওয়ার। ভবনটির উপরে রয়েছে একটি ঘূর্ণায়মান রেস্তোরাঁ। সেখান থেকে শহরের পুরোটাই দর্শণ করা যায় আর এই কারণেই পর্যটকরা শহরটির চারপাশে দৃশ্য দেখার জন্য কে এল টাওয়ারটিতে ঘুরতে আসেন। আরেকটি মজার বিষয় হল টাওয়ারটির লিফট ৫৪ সেকেন্ডের মধ্যে পর্যবেক্ষন ডেকে উঠতে পারে এবং ৫২ সেকেন্ডে নিচে নেমে আসে।
টুইন টাওয়ার(Twin Tower)
মালয়েশিয়া কুয়লালামপুরে অবস্থিত একটি বহুতল ভবন যার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ১লা মার্চ ১৯৯৩ সালে তা সম্পূর্ণ হয়েছে ১লা মার্চ ১৯৯৬ সালে এবং উদ্বোধন করা হয়েছে ১লা আগষ্ট ১৯৯৯ সালে। ভবনটির উচ্চতা ৪৫১.৯ মিটার (১৪৮৩ ফুট) ভবনটি ৮৮ তলা তাতে ব্যয় হয়েছিল ১.৬ বিলিয়ন ডলার, ভবনটি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে উচু ভবন বলে গণনা করা হতো যদি এর উচ্চতা মাপা হত পবেশপথেরে স্তর থেকে একেবারে চূড়া পর্যন্ত। ভবনটির চারপাশে খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো, টাওয়ারের পেছেনের দিকটা শুধুই পর্যটকদের জন্য এখানে রয়েছে নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা। এখানে বিকেল বেলা আয়োজন কার হয়া ওয়াটার শো এখানে রয়েছে কৃত্রিম একটি সেতু এই সেতুতে দাঁড়িয়ে পুরো টাওয়ারের ছবিও তোলা যায়। পর্যটকদের জন্য স্কাই ব্রিজ হচ্ছে সেরা আকর্ষণ। আপনি চাইলে টাওয়ারের ৪১ তলা পর্যন্ত টিকিট কেটে ভিজিট ও ছবি তুলতে পারবেন।
ঈগল স্কয়ার(Eagle Square Malaysia)
ঈগল স্কয়ার দাতারান লঙ্কাউই সেরা পরিচিত মানুষ্য সৃষ্ট আকর্ষণ গুলির মধ্যে একটি। উড়াল দেবার জন্য প্রস্তুত একটি বিশাল আকৃতির ঈগলের ভাস্কর্য। এটি কুয়া জেটিতে অবস্থিত। লালচে-বাদামি ঈগল দ্বীপটির প্রতীক হিসেবে নির্মিত হয়েছে। স্থানীয় ভাষায় লঙ্কাউই দুইটি মালাই শব্দ হতে এসেছে। " হেলং" (ঈগল) এবং "কাওয়াই" (লাল বাদামি) তাই এই দ্বীপটিকে লাল বাদামি ঈগলের দ্বীপও বলা হয়। এই দ্বীপের পাশেই আছে চোগুম পার্ক এবং তামান লেজেন্ডা দালাম। এই দ্বীপটিতে ভ্রমণকারীরা নৌকা বা স্পিডবোটে করে বেড়াতে পারবেন এবং ছবি তোলার জন্য আদর্শ একটি জায়গা এটি। এছাড়া কিছু দূর হাটতেই জেটির পয়েন্ট মল এখানে বাচ্চাদের খাবার ও খেলনা খুবই কম দামে পাওয়া যায়।
লাংকাভি-(Langkawi)
লঙ্কাউই উত্তর-পশ্চিম মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে আন্দামান সাগরে ৯৯টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। ভাটার সময় আরও পাঁচটি দ্বীপ জেগে ওঠে। দ্বীপগুলো মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের অন্তর্গত। এদের মধ্যে সুবৃহৎ দ্বীপটিই লংকাউইয়ে দ্বীপ নামে পরিচিত। ইংরেজী শব্দটা (Langkawi), বাংলা উচ্চারণ লঙ্কাউই বা লংকাবি বা লংকাওয়ে যাই হোক না কেন এটি একটি অসাধারণ দর্শনীয় স্থান। Langkawi মানে হলো লালচে-বাদামী ঈগলের দ্বীপ যাদের পেটের দিকটা সাদা। ঈগল মালয়েশিয়ার জাতীয় প্রতীক। লঙ্কাউই দ্বীপপুঞ্জের বারাসা আইল্যান্ডে ঈগলের অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। মূল দ্বীপটার আয়তন প্রায় ২৫ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপের দুই তৃতীয়াংশই বন-আচ্ছাদিত, পাহাড়-পর্বত ও প্রাকৃতিক গাছপালাবেষ্টিত।এখানে অনেকগুলো দ্বীপ আছে স্পীড বোটে চড়ে সেগুলো পরিদর্শন করার সুযোগ রয়েছে।
পুত্র জয়া(Putrajaya Malaysia)
পুত্র জয়া হল মালয়েশিয়ার নান্দনিক প্রশাসনিক শহর। সুপরিকল্পিত এই নগরী কুয়ালালামপুর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। কুয়ালালামপুর শহর টি অতিরিক্ত জনবহুল হওয়ায় ১৯৯৯ সালে প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজয়া তে স্থানান্তরিত করা হয়। পুত্রজয়ার মোট আয়তন ৮০০০ একর বা ৩২ বর্গ কিলোমিটার। শহরটির প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক পুরো নগর কে কেন্দ্র করে রয়েছে সবুজ বনানী। বোটানিক্যাল গার্ডেনের অপরূপ ল্যান্ড স্কোপ এই শহরকে করে তুলেছে অনন্য এবং আরো দৃষ্টিনন্দন। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের জলাশয় এবং পানির ধারা। বিশেষ করে পুত্রজয়া লেক পুরো নগরের আকর্ষণের বিশ্রাম বিনোদনের প্রাণ কেন্দ্র। এই লেকটি পুরো শহর জুড়ে বিস্তৃত, এই শহরের দর্শনীয় স্থানসমূহ পেদান পত্রা মানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুত্রা মসজিদ, পুত্রজয়া ইন্টার্নেশনাল কনভেনশন সেন্টার, সেরি পের্দাণা মানে হচ্ছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক ভবন। উইসমা পুত্রা মানে হচ্ছে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন। স্থানা মেলাওয়াতি এবং ইস্থানা দারুল এহসান এই দুইটি স্থান পর্যায়ক্রমে দেশটির রাজা এবং সেলাংগোর প্রদেশের সুলতানের ভবন। ডিপ্লোমেটিক এনক্লেভ অর্থ প্রবাসী দ্রুত বাসের জন্য বরাদ্দকৃত স্থান। পের্দাণা লিডারশীপ ফাউন্ডেশন অর্থ প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়, তামান পুত্রা পের্দার্ণা, মিলেনিয়াম মনুমেন্ট, পুত্রজায়া বুলেভার্ড এবং ক্রুজ তাসিক পুত্রজায়া ইত্যাদি.