★ঢাকা থেকে দুপুর ২.০০ মিনিট / ২.৩০ মিনিট ফ্লাইটে করে জয়পুর এয়ারপোর্ট পৌঁছে ইমিগ্রেশন শেষ করে হোটেল চেক-ইন।
১ম দিনঃ
★ সন্ধ্যায় এশিয়ান বিগেষ্ট সিনেমা হল (Raj Mandir Cenama Hall)পরিদর্শন শেষে হোটেলে রাত্রি যাপন।
২য় দিনঃ
★ সকালে নাস্তা শেষে আজমির শরিফ (Ajmir Sharif) এর উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে রওনা সেখানে পৌঁছে পরিদর্শন শেষে রাতে হোটেলে অবস্থান।
৩য় দিনঃ
★ জয়পুর লোকাল সিটি (Jaipur Local City),আমির ফোর্ট (Amer fort), সিটি প্লেস (City Palace), হাওয়া মহল(Hawa-Mahal) ইত্যাদি পরিদর্শন শেষে হোটেলে রাত্রি যাপন।
৪র্থ দিনঃ
★ জয়পুর থেকে আগ্রার উদ্দেশ্যে রওনা সেখানে পৌঁছে হোটেল চেক-ইন। দুপুরের খাবারের পর তাজমহল(Tajmahal)পরিদর্শন শেষে রাতে হোটেলে অবস্থান।
৫ম দিনঃ
★ সকালের নাস্তা শেষে ফতেপুর শিকরি (Fatehpur Sikri), আগ্রা ফোর্ট (Agra fort) এবং সিকান্দারা (Sikandra) ইত্যাদি পরিদর্শন শেষে হোটেলে রাত্রি যাপন।
৬ষ্ঠ দিনঃ
★ আগ্রা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা সেখানে পৌঁছে হোটেল চেক ইন। সন্ধ্যায় লাল কেল্লা (Evening Visit Light & Sound at Red Fort) পরিদর্শন শেষে রাতে হোটেলে অবস্থান।
৭ম দিনঃ
★ দিল্লি লোকাল সিটি (Delhi Local City), কুতুব মিনার( Kutub Minar), লোটাস টেম্পাল(Lotus Temple), ইত্যাদি পরিদর্শন শেষে হোটেলে রাত্রি যাপন।
৮ম দিনঃ
★ সকালে হোটেল চেক-আউট শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে রওনা।
প্যাকেজেরঅন্তর্ভুক্তঃ
✅ বিমান টিকিট (আশা-যাওয়া)
✅ থ্রী ষ্টার হোটেল (৭ রাত)।
✅ খাবার: সকাল, দুপুর, রাত।
✅ পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস (এসি)।
✅ সাইটসিং।
✅ গাইড সার্ভিস।
প্যাকেজেরঅন্তর্ভুক্তনয়ঃ
✅ কোন ব্যক্তিগত খরচ।
✅ কোন ঔষধ।
✅ কোন প্রকার দুর্ঘটনা জনিত বীমা।
✅ ভিসা প্রসেসিং।
✅ সকল প্রকার টিপস।
✅ প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন সার্ভিস সমূহ।
✅ অনাকাঙ্খিত খরচ যেমন ফ্লাইট ডিলে করা, ফ্লাইট ক্যান্সেল, হরতাল, অবরোধ অথবা প্রাকৃতিক দূর্যোগ জনিত কারণে ইত্যাদি।
সাথে যা নেওয়া প্রয়োজনঃ
★ ঢাকার চেয়ে ঠান্ডা হাওয়ায় হালকা ও ভারী শীতের কাপড়।
★ বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে ছাতা বা রেইনকোট।
★ রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস, সানক্যাপ।
★ বাইনোকুলার, ক্যামেরা
★ টুথপেষ্ট, টুথব্রাশ, তোয়ালে, কেডস, স্লিপার।
★ জরুরী ঔষধ পত্র।
চাইল্ড পলিসিঃ
১। ০ থেকে ২ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য এয়ার টিকিটের মূল্যের ২০% দিতে হবে। হোটেলের বেড, গাড়ীর সিট বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে হবে।
২। ২ বছর থেকে ১২ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য এয়ার টিকিটের মূল্যের ৮০% দিতে হবে। ২ বছর থেকে ৫ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য হোটেলের বেড, গাড়ীর সিট বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে হবে।
৩। ৫ বছর থেকে ১২ বছরের পূর্ব পর্যন্ত বাচ্চার জন্য সকল খরচ দিতে হবে ৮০% করে।
শর্তাবলীঃ
১। সর্বনিম্ন ৪ জন হতে হবে যেহেতু পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
২। গ্রুপ এবং কর্পোরেট ট্যুরের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়!
৩। আমাদের নিয়োমিত এই প্যাকেজগুলো বছরের যে কোন সময় উপভোগ করতে পারবেন। শুধু বিশেষ বিশেষ ছুটির দিন ব্যতিত যেমনঃ ঈদের ছুটি, পূজার ছুটি ইত্যাদি।
৪। প্যাকেজের মূল্য যে কোন সময়ে পরিবর্তন যোগ্য।
বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়ঃ
১। একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
২। ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
৩। ভ্রমণ সুন্দর ভাবে পরিচালনা সাপেক্ষে সবার কাছে সর্বাত্মক সহায়তা আমাদের একান্ত কাম্য।
৪। আমরা শালীনতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
৫। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
৬। কোন প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না।
৭। সর্বোপরি বাংলাদেশের সম্মান হানী হয় এমন কোন কাজে লিপ্ত হবনা। যেহেতু আপনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিঃদ্রঃ ভ্রমণের নিকটবর্তী তারিখগুলোতে বিমান ভাড়া সব সময় বৃদ্ধি হতে পারে বিধায়,এই মূল্যের প্যাকেজ সেবা নিতে ১ মাস বা তার অধিক সময় পূর্বে বুকিং করুন।
ভারত (India)
দিক্ষিণ এশিয়ার একটি রষ্ট্র দেশটির সরকারী নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এইদেশ বিশ্বের ২য় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গনতান্ত্রীক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সিমান্তে পাকিস্তান, উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও মালয়েশিয়া অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে শীমান্তে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিটকবর্তী কয়েকটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দক্ষিনে ভারত মহাসগর পিশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকল রেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১৯ মাইল)। ভারত বিভিন্ন সংস্কৃতি, অঞ্চল এবং বিভিন্ন ধর্মের একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে অনেক ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাকৃতিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যা দেখার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে আসেন শুধুমাত্র সুখের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পেতে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তাজমহল (আগ্রা), ভারত গেটওয়ে (মুম্বাই), ইন্ডিয়া গেট (নয়াদিল্লি), হার মন্দির সাহিব (অমৃতসর), রেড ফোর্ট (নয়াদিল্লী) এবং আজমীর শরিফ(আজমীর) ইত্যাদি।
তাজমহল (Tajmahal)
ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুগল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মমতাজ নামে পরিচিত তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল। তা নির্মাণের পর থেকেই বহু পর্যটক কে আকর্ষিত করেছে। বর্তমানে তাজমহলে দুই থেকে তিন মিলিয়ন পর্যটক আসে যার মধ্যে ২ লক্ষ পর্যটক বিদেশী। তাই বলাই যায় ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এটা। তবে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি আসেন ঠান্ডার মৌসুমে।
আজমীর শরীফ (Ajmer Sharif)
উপমহাদেশের অন্যতম পর্যটন ও ধর্মীয় স্থান। রাজ্যের উত্তর পূর্বে অবস্থিত, আজমির শরীফ সেন্ট্রাল কারাগারের ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত। আজমীর শরীফ দরগা মূল কেন্দ্র আজমির রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২ কিলোমিটার দূরে পাহাড় বেষ্টনী আনা সাগরের তীরে ৪৮৬ ফুট উচ্চে রমণীয় পরিবেশে সবুজ মরুদ্যানের মতো রূপ পেয়েছে শহরটি। আজমীর শরীফ টি মূলত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রঃ) মাজার শরীফ এর জন্য বিখ্যাত। খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রঃ) হলেন চিশতিয়া ধারার ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক। তিনি ১১৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন ও ১২৩৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গরিবের নেওয়াজ নামে পরিচিত। এক সময় আজমির একটি রাজ্য নামে পরিচিত ছিলো বর্তমানে যার নাম রাজস্থান রাজ্য
হাওয়া মহল (Hawa Mahal)
হাওয়া মহল (প্রাসাদ অফ বাতি) ভারতের জয়পুর শহরের একটি প্রাসাদ এটি লাল ও গোলাপি বেলে পাথর দ্বারা নির্মিত একটি ভবন। প্রাসাদটি সিটি প্যালেস প্রান্তেই, জয়পুর বিমান বন্দর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৭৯৯ সালে মহারাজা সাওয়াই প্রতাপ সিং দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। হাওয়া মহল বানানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজকীয় মহিলারা দৈনন্দিন জীবন এবং উৎসব উদযাপন করার জন্য যাহা তারা রাস্তায় বা বাহিরে নিখুঁত ভাবে পালন করতে পারত না। প্রাসাদটি সকালে সূর্যোদয়ের সময় দেখলে মনে হয় সুবর্ণ আলোতে আলোকিত হয়।
আগ্রা ফোর্ট (Agra Fort)
আগ্রা শুধু একটি নাম নয় এটি একটি ইতিহাসও বটে যে নামে কল্পনায় ভেসে ওঠে প্রেমের এক অনুপম নিদর্শন। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে অমর প্রেমের এক অবারিত স্রোতধারা প্রেম যমুনা। সেই যমুনার প্রেম স্রোতের একটি নগরের নাম আগ্রা। আগ্রায় অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে একটি হলো আগ্রা ফোর্ট বা আগ্রা লালকেল্লা। ভারতীয় উপমহাদেশের শাসক মুঘল রাজবংশের রাজকীয় আবাসস্থল এবং মুঘল স্থাপত্যের এক অনবদ্য নির্দেশন। দূর্গটি ভারতের একটি রাজ্য উত্তর প্রদেশের আগ্রার যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। মুঘল স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন তাজমহল থেকে আগ্রা ফোর্ট মাত্র ২.৫ কিলোমিটার দুর অবস্থিত।
সিকান্দারা (Sikandra)
সিকান্দারা আগ্রার উপকূলে মূঘল সম্রাট আকবরের সমাধির অবস্থান। সিকান্দার হল ভারতের উত্তর কানপুর দেহাত জেলার একটি শহর। এটি হলো উত্তর প্রদেশের বিধানসভা এলাকা, সিকান্দারা অনেক সুন্দর অবশ্য আপনি তাজমহলের মত অনেক দর্শক পাবেন না কিন্তু এটি একটি আগ্নেয়গিরির স্মৃতিস্তম্ভ। লাল বেলে পাথর ও মার্বেল টির কাঠামো তাজমহলের প্রবেশদ্বারের মতো। এবং জায়গাটির স্থিরতা আপনাকে প্রশান্তি এনে দিবে। ভেতরে যেখানে সম্রাট আকবর বিশ্রাম করতেন জায়গাটি খুবই চমৎকার ডিজাইনের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছিল। সমাধি বিল্ডিংটি ১টি ছিদ্র যুক্ত পিরামিডের মতো এবং পাঁচটি মন্দির, বাগান এবং এখানে উন্মুক্ত ময়ূর দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন।
লাল কেল্লা (Red Fort)
পুরনো দিল্লি শহরে মোগল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত একটি দুর্গ যা ১৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দে সম্রাট শাহজাহান সুবৃহৎ এই কেল্লা টি নির্মাণকার্য শুরু করেন এবং নির্মাণকার্য শেষ হয় ১৮৪৮ সালে দুর্গটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এখন পর্যন্ত প্রতি বছর ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লার লাহেরী গেট সংলগ্ন একটি স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। লালকেল্লা টি ২০০৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের একটি শক্তিশালী প্রতীক।
কুতুব মিনার(Kutub Minar)
ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত একটি স্তম্ভ বা মিনার যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইট নির্মিত মিনার এটা কুতুব কমপ্লেক্স এর মধ্যে অবস্থিত। প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের পাথর দিয়ে কুতুব কমপ্লেক্স এবং মিনারটি তৈরি করা হয়েছে। ভারতের প্রথম মুসলমান শাসক কুতুব উদ্দিন আইবেকের আদেশে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে তবে, মিনারের উপরের তলা গুলোর কাজ সম্পূর্ণ করেন ফিরোজ শাহ্ তুঘলক ১৩৮৬ খ্রিস্টাব্দে। ভারতীয় মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন বলে কুতুবমিনার বেশ উল্লেখযোগ্য। এর আশেপাশে আরও বেশ কিছু প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় স্থাপনা এবং ধ্বংসাবশেষের রয়েছে যা একত্রে কুতুব কম্প্লেক্স হিসেবে পরিচিত। এই কমপ্লেক্সটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাবদ্ধ হয়েছে এবং এটি দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য যাহা কিনা ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ পরিদর্শন সৌধ হিসেবে নির্বাচিত হয় যেখানে ৩৮.৯৫ লক্ষ পর্যটক আসেন.
লোটাস টেম্পাল (Lotus Temple)
লোটাস মন্দির হল বাহাই ধর্মের বিশ্বাসী একান্ত মানুষদের জন্য একটি ধর্মাচরণের জায়গা। এটা বিশ্বের সবচেয়ে এক অন্যতম সর্বাধিক পরীদর্শনীয় স্থাপত্য বিস্ময়। ২৬ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে থাকা মন্দিরটি ১৩০ ফুট এর উপরে লম্বা। সম্পূর্ণ মন্দিরটি ২৭ টি মার্বেল নির্মিত পদ্ম পাপড়ি দিয়ে তৈরি ও ৯টি দিক বিশিষ্ট মন্দিরের ৯টি প্রবেশদ্বার। মন্দিরটি ১৯৮৬ সাল উন্মুক্ত হয়। বাহাইদের উপাসনা স্থল এই সুন্দর মন্দির পদ্মের মতো দেখতে বলে একে পদ্ম মন্দিরও বলে। সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা বহু স্মৃতিসৌধ, মন্দির, মসজিদ যার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে যা সৌন্দর্যের নিরিখে একে অপরকে টেক্কা দেয়। রাজধানী দিল্লির পাশের শহর আগ্রার মূল আকর্ষণ তাজমহল যার খ্যাতি সারা বিশ্বে অবিদিত তেমনি একুশ শতকের প্রথম দশকে নির্মিত হওয়া দিল্লির লোটাস টেম্পলের আকর্ষণও নেহায়েত কম নয়.