★ পেহেলগাঁও (Pahalgam) থেকে শ্রীনগর (Srinagar) পৌঁছে, গুল্মর্গ স্নো পয়েন্ট (Gulmarg Snow point) ইত্যাদি পরিদর্শন শেষে হোটেলে রাত্রি যাপন।
৬ষ্ঠ দিনঃ
★ শ্রীনগর লোকাল সিটি (Srinagar Local City), শালিমার বাগ (Shalimar bagh), চশমা শাহি (Chashme shahi) ইত্যাদি পরিদর্শন শেষে রাতে হোটেলে অবস্থান।
৭ম দিনঃ
★ সকালে হোটেল চেক-আউট শেষে শ্রীনগর এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস। (শ্রীনগর থেকে ঢাকা সম্ভব্য ফ্লাইট সকাল: ৯.০০ মিনিট)।
প্যাকেজেরঅন্তর্ভুক্তঃ
✅ ষ্টান্ডার্ড হোটেল (৬ রাত)।
✅ খাবার: সকাল, রাত।
✅ পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস (নন এসি)।
✅ সাইটসিং।
✅ গাইড সার্ভিস।
প্যাকেজেরঅন্তর্ভুক্তনয়ঃ
✅ বিমান টিকিট (আশা-যাওয়া)
✅ কোন ব্যক্তিগত খরচ।
✅ দুপুরের খাবার
✅ কোন ঔষধ।
✅ কোন প্রকার দুর্ঘটনা জনিত বীমা।
✅ ভিসা প্রসেসিং।
✅ সকল প্রকার টিপস।
✅ প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন সার্ভিস সমূহ।
✅ অনাকাঙ্খিত খরচ যেমন হরতাল, অবরোধ অথবা প্রাকৃতিক দূর্যোগ জনিত কারণে ইত্যাদি।
সাথে যা নেওয়া প্রয়োজনঃ
★ কাশ্মীর ঢাকার চেয়ে ঠান্ডা হাওয়ায় হালকা ও ভারী শীতের কাপড়।
★ বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে ছাতা বা রেইনকোট।
★ রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস, সানক্যাপ।
★ পাহারি পথে হাটার জন্য কেডস।
★ বাইনোকুলার, ক্যামেরা
★ টুথপেষ্ট, টুথব্রাশ, তোয়ালে, স্লিপার।
★ জরুরী ঔষধ পত্র।
চাইল্ড পলিসিঃ
১। ০ বছর থেকে ৫ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুর জন্য হোটেলের বেড, গাড়ীর সিট বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে হবে।
২। ৫ বছর থেকে ১২ বছরের পূর্ব পর্যন্ত বাচ্চার জন্য সকল খরচ দিতে হবে ৮০% করে।
শর্তাবলীঃ
১। সর্বনিম্ন ৪ জন হতে হবে যেহেতু পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
২। গ্রুপ এবং কর্পোরেট ট্যুরের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়!
৩। আমাদের নিয়োমিত এই প্যাকেজগুলো বছরের যে কোন সময় উপভোগ করতে পারবেন। শুধু বিশেষ বিশেষ ছুটির দিন ব্যতিত যেমনঃ ঈদের ছুটি, পূজার ছুটি ইত্যাদি।
৪। প্যাকেজের মূল্য যে কোন সময়ে পরিবর্তন যোগ্য।
বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়ঃ
১। একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
২। ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
৩। ভ্রমণ সুন্দর ভাবে পরিচালনা সাপেক্ষে সবার কাছে সর্বাত্মক সহায়তা আমাদের একান্ত কাম্য।
৪। আমরা শালীনতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
৫। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
৬।কোন প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না।
৭। সর্বোপরি বাংলাদেশের সম্মান হানী হয় এমন কোন কাজে লিপ্ত হবনা। যেহেতু আপনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিঃদ্রঃএই মূল্যের প্যাকেজ সেবা নিতে ১ মাস বা তার অধিক সময় পূর্বে বুকিং করুন।
কাশ্মির (Kashmir)
ভূস্বর্গ বলে কথা যেখানে এসে স্বয়ং মুঘল সম্রাট জাহঙ্গীর নাকি বলেছিলে, পৃথিবীতে যদি কোথাও স্বর্গ থাকে তবে তা এখানেই আছে, এখানেই আছে এবং এখানেই আছে। এমন জায়গায় কে না যেতে চায়। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উপরে যার আয়তন ২,২২,২৩৬ বর্গ কি.মি. এবং জনসংখ্যা ১,০১,৪৩,০০০ জন প্রায়। শতকরা ৭৭ ভাগ লোক শিক্ষিত। কাশ্মীরি, ডগরি ও লাদখি এদের প্রধান ভাষা। জাফরান, গম, আপেল, ধান ও বার্লি কৃষিজ ফসল। কার্পেট, শালে এবং ওলেন কাপড়ের জন্য স্থানটি বিখ্যাত। জম্মু-কাশ্মীর শীতকালীন রাজধানী জম্মু ও গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর। শ্রীনগরের শীতকালে তাপমাত্রা -০ ডিগ্রি নিচে নেমে আসে। কাশ্মীরের ডাল লেক, চরচিনার, শংকর চূড়া, ভিসনোদেবী মন্দির, লাদাখ, হযরত বাল মসজিদ, শালিমারবাগ, লেহ, শোনমার্গ, গুলমার্গ, পহেলগাঁও, নিশাতবাগ, চশমাশাহী, নাগীনলেক, লালচক, অমরনাথ মন্দির ও জিলাম নদী প্রভৃতি পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। সব মিলিয়ে যেন একটা স্বর্গ দেখার অনুভূতি রয়েছে পুরটা কাশ্মীর জুড়ে।
শিকারা ডল লেক (Shikara Dal Lake
কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর শহরের নিকটবর্তী একটি বিখ্যাত ও নয়নাভিারম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা পাহাড়ের পাদদেশে ডাললেকের অবস্থান। লেকটি ৩ কিলোমিটার প্রস্ত ও ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ্য। বলতে গেলে নৈঃসর্গিক সৌন্দের্যের লীলাভূমি। শিকারায় (ডিঙ্গি নৌকা) চেপে অপরুপ এই হ্রদটির এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা, পুরো ভাসমান আস্তো শহর বাজার থেকে শুরু করে পোস্ট অফিস পর্যন্ত নৌকায় ভাসমান, এই বাজারে বিখ্যাত কাশ্মীরি পশমিনা শাল থেকে শুরু করে মনোলোভা কাশ্মীরি কাবাব সবকিছুই পাওয়া যায়। ডাল লেক শুধু প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি কৃত্রিমভাবেও একে মোহনীয় করা হয়েছে লেকের মাঝে মাঝেই রয়েছে কৃত্রিম ফোয়ারা। এছাড়া লেকটিতে হাঁস সহ বিভিন্ন পাখি মুক্তভাবে চরে বেড়ায়। তাদের জলকেলি দেখাও কম আনন্দের নয়। ডাল লেকের মাঝখানে একটি দ্বীপ রয়েছে সেই দ্বীপের মাঝে গড়ে উঠেছে নেহরু পার্ক। ছোট্ট সুন্দর এই পার্কটিতে আছে চা খাওয়ার জন্য সুন্দর জায়গা, চাইলে লাঞ্চও করা যায়। এখানকার প্রচন্ড শীতে আপনি কাবু হয়ে যাবেন। তবে ভয়ের কিছু নেই। রাতে ঘুম হবে আরামের কারন প্রত্যেক হোটেলেই রুম হিটার/বেড হিটার আছে। খাওয়া দাওয়া খুবই স্বাদের। তাই চলুন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিলা ভূমি ঘুরে আসি।
সোনমার্গ (Sonmarg)
সিন্ধু উপত্যকায় সৌন্দর্যের আরেক নাম কাশ্মীরের শোনমার্গ। এখানে উজ্জ্বল ফুল এবং ঘন সবুজ পাহাড় দিয়ে পরিপূর্ণ। শোন মার্গ এর নামের মানে সোনার তৃণভূমি এবং যা যজিলা পাসের কাছাকাছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা হিমবাহ এবং দেশের সর্বোচ্চ হ্রদ (Vishansar) লেক. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে চার হাজার আটচল্লিশ মিটার এবং ষ্ট্রিম মহান আলপাইন হৃদ, নদী প্রবাহ যা সারা বিশ্ব থেকে আগত প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি জনপ্রিয় পর্যটক অরন্য।
গ্লেসিয়ার পয়েন্ট (Glacier Point)
গ্লেসিয়ার বা থাজিয়াস হিমবাহ সারা বছরই কমবেশি বরফ আচ্ছাদিত থাকে তবে শীতে চারদিকে শুধু বরফ আর বরফ এবং জোজিলা পাস একটি পৃথিবীর উচ্চতর ভৌগলিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানকার পাহাড়ি রাস্তাগুলো অনেক বেশি ভয়ংকর আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় বরফ ঠেলে গাড়িতে করে উপরে উঠতে হয় তবে এই ভয়ংকর আতঙ্কের মধ্যেও অনেক বেশি আপনি রোমাঞ্চিত হবেন এই বরফের দেশে গাড়িতে করে চলার কারণে। স্লেজে চড়ে বরফে স্কেটিং করে আপনি ফিরে যাবেন আপনার শৈশবে। পুরো গ্লেসিয়ার পয়েন্ট মনে হবে সাদা বরফের চাদরে জড়িয়ে আছে। এখানকার প্রকৃতি মনমুগ্ধকর, আবহাওয়াও স্বাস্থ্যকর হওয়ায় দেশি বিদেশি পর্যটক ছুটে আসেন এই গ্লেসিয়ার পয়েন্ট পরিদর্শন করতে।
পেহেলগাঁও (Pahalgam)
শ্রীনগর শহর থেকে প্রায় ৯৬ কি.মি দূরে এবং সমতল ভুমি থেকে ২১৯৬ মিটার উঁচুতে আঁকা-বাঁকা পাহাড় বেয়ে ওপরে উঠা আবার সমতল ভূমিতে দূরের পথ পাড়ি দিতেই একটু পরেই দেখা মিলবে পহেলাগাঁও বা প্রথম গ্রাম তারই নাম পহেলাাগাঁও। শ্রীনগর থেকে পহেলগাঁও যাওয়ার পথের প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাকের মুগ্ধ করবে। বিশাল বিশাল পাইনগাছ, চিনারগাছ, বরফে ঢাকা জাফরান খেত, ফসলের জমি আর রাস্তা ঘাট বরফের চাদরে মোড়া। মনেহয় যেন দূরের বিশাল পাহাড়গুলো ধবধবে ঐতিহাসিক জিলাম নদীতে আছড়ে পড়ে।
বেতাব ভ্যালি (Betaab valley)
কাশ্মীরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পহেলগাঁও এর বেতাব ভ্যালি অন্যতম। পহেলগাঁও থেকে চন্দনওয়ারী যাওয়ার মাঝপথেই পরে এই বেতাব ভ্যালি। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ আপনার মন ভুলিয়ে দেবে, পাহাড়ে কাশ্মীরিদের প্রধান বাহন ঘোড়া এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াতে দেখা যাবে। এখানে পর্যটকদের আনাগোনায় সবসময় মুখরিত থাকে। সর্বোপরি বেতাব ভেলিতে গেলে নিশ্চিত স্বর্গের ছোঁয়া পাবেন।
আরো-ভ্যালি (Aro Valley)
কাশ্মীরের পহেলগাঁও থেকে গাড়িতে করে আনুমানিক ৩০ মিনিট সময় লাগে আরো ভ্যালিতে পৌঁছাতে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি সংরক্ষিত বনভূমির উপত্যকার তলদেশে একটি ক্ষুদ্র গ্রাম। এই গ্রামে গাড়ি চালানো খুবই লোভনীয় আঁকা-বাঁকা পথে বরফের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি পথে যাতায়াতের পথটি পর্যটকদের বেশ আনন্দিত করে। এই পাহাড়ি অঞ্চলে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকে। এছাড়াও এটি একটি ঘন সবুজ গাছ দিয়ে এক অনন্য সুন্দর একটি গ্রাম তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আরো নদী। পাশাপাশি দেখার মত সুন্দর আরো কিছু হৃদ রয়েছে। তাছাড়াও ক্যাম্পিং, ট্রাকিং, প্যারাগাইডিং এরও মজা নিতে পারবেন। শীতে এখানে স্কেটিং এরও ভালো ব্যবস্থা থাকে তাই প্রতি শীতে হাজার হাজার পর্যটক আরো ভ্যালি পরিদর্শন করতে আসেন এবং পরিদর্শন করে নিজেকে মুগ্ধ করেন।
শ্রীনগর লোকাল সিটি (Srinagar Local City)
শ্রীনগর ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঙ্গরাজ্যের রাজধানী। এখানে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বসবাস, শহরটি ঝেলুম নদীর তীরে কাশ্মীর উপত্যকায় অবস্থিত। শীতকালে প্রবল শীতের কারণে অঙ্গরাজ্যটির রাজধানী ছয় মাসের জন্য জম্মুতে স্থানান্তরিত করা হয় শ্রীনগর একটি পর্যটক কেন্দ্র এখানকার হৃদ, পাহাড়, সবুজ মাঠ, বার্চ ও উইলো গাছে পূর্ণ অরণ্য পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এখানকার বিভিন্ন কুটির শিল্পও জগত বিখ্যাত যেমন কার্পেট, রেশম ও পশমের বস্ত্র, কাঠ ও চামড়ার কাজ গুলো উল্লেখযোগ্য। শহরের ভেতরে ও বাইরে বহু প্রাচীন ভবন ও ধ্বংসাবশেষ আছে। ১৯৬৯ সালে এখানে শ্রীনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এছাড়াও এখানে ৭ম শতকের নির্মিত একটি মসজিদ এবং ১৬শ শতকে নির্মিত একটি দুর্গ এবং সমাধি আপনাকে এক বিশ্ব সৌন্দর্য মুখর অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এছাড়াও শ্রীনগরে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য স্থান যেমন ডাল লেক, নাগিন লেক, জামা মসজিদ, হযরত বল মসজিদ, শঙ্করাচার্য মন্দির, শ্রী প্রতাপ সিং মিউজিয়াম, ইন্দিরা গান্ধী টিউলিপ গার্ডেন, নিশাত বাগ এবং দচিগাম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
গুল্মর্গ স্নো পয়েন্ট (Gulmarg Snow point)
শীতকালে যেদিকে তাকাবেন শুধু বরফ আর বরফ সে যেন এক অপরূপ সৌন্দর্য, মনে হয় প্রকৃতি সব রূপ এখানে ঢেলে দিয়েছে। শ্রীনগর থেকে গুলমার্গ যাওয়ার পথের দৃশ্যই আপনার ভ্রমণ পিয়াসী মনকে কানায় কানায় ভরে দিবে। একানকার ঘর, বাড়ি, গাছ-পালা, ফসলের জমি সব কিছুই বরফের নিচে শীতকালে ঢাকা পড়ে। গুলমার্গ শ্রীনগর থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটা সমতল ভূমি থেকে ২৭৩০ মিটার উঁচুতে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের সমারোহ। বরফফাচ্ছদিত পর্বতে ক্যাবল কারে চড়ে দেখে নিতে পারেন পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর সীমান্ত। ঘোড়ায় চড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন চেরি অরচার্ড, পাইন ফরেস্ট কিংবা মিশন কাশ্মীর সিনেমার শুটিং স্পর্ট এছাড়া এখানে রয়েছে আরও অনেক রকম বিনোদনের ব্যবস্থা যেমন স্কেটিং, স্কুটার, প্যারাগ্লাইডিং ইত্যাদি।
শালিমার বাগ (Shalimar bagh)
ভারতের জম্মু কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের অদূরে বিখ্যাত ডাল লেকের উত্তর-পূর্বদিকে সংযোগ খালের পাড়ে মুঘল আমলে গড়ে তোলা হয় প্রথম শালিমার বাগ। শালিমার বাগটি শ্রীনগর শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। বাগানটির আয়তন প্রায় ৩১ একর যা ৫৩৯ মি. দৈর্ঘ্য এবং ১৮২ মি. প্রস্থ। পুরো বাগান শীতকালে বরফে আচ্ছন্ন এবং বসন্ত কালে বাগাটি ফুলে ফুলে ভরা থাকে। বাগানের মধ্যে ঝর্ণা ধারা, এই জায়গাটি বিভিন্ন নাম থাকলেও শালিমার বাঘ নামেই বেশি প্রচলিত। ১৬১৯ সালে এই স্থাপনার গোড়াপত্তন করেছিলেন প্রখ্যাত মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তার প্রিয়তমা নুরজাহানের মনো তুষ্টির জন্য। তৎকালীন সময়ে এখানে সাধারন জনগনের প্রবেশাধিকার ছিল না কিন্তু এখন পুরো উদ্যানটি জনসাধারণের বেড়ানোর জন্য উন্মুক্ত। এখানকার সুন্দর সবুজ গাসের গালিচা, চেনা অচেনা নানা রকম ফুল-ফল, চমৎকার ম্যাপল গাছ এই গাছের লতা পাতা গুলো নিচে বিছিয়ে থেকে শালিমার বাগ এর সৌন্দর্যে এনেছে এক অনন্য রূপ।
চশমা শাহি (Chashme shahi)
চশমা শাহী বাগানের অপর নাম শাহীবাগ যা শ্রীনগর থেকে ৯ কি.মি দূরে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজের জন্য চশমাশাহীবাগ নির্মাণ করেছিলেন। বাগানটি ১৬৩২ সালে নির্মাণ করা হয়। এখানকার সুন্দর সবুজ গাসের গালিচা, চেনা অচেনা নানা রকম ফুল, ফলরে গাছ এর সৌন্দর্যে এনেছে এক অনন্য রূপ। যা দেখে নিমিশেই আপনার ভ্রমণ ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে। বাগানটিতে বসন্তকালে বাগানে ঠন্ডা পানি পাওয়া যায়।