★ ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় গাড়িতে করে বুড়িমারীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু।
১ম দিনঃ
★ আনুমানিক ভোর ৬.০০ টায় বুড়িমারী পৌঁছে সকালের নাস্তা বিরতি (নিজ ব্যবস্থাপনায়) নাস্তা শেষে বুড়িমারী ও চ্যাংড়াবান্দা ইমেগ্রেশন শেষ করে গাড়ি যোগে মিরিক (Mirik) হয়ে সন্ধ্যায় দার্জিলিং (Darjeeling) পৌঁছে হোটেল চেক-ইন এবং রাত্রি যাপন।
২য় দিনঃ
★ সূর্যোদয় দেখার জন্য ভোর ৪.০০ টায় টাইগার হিলের উদ্দেশ্যে রওনা। সেখানে পৌঁছে টাইগার হিল (Tiger Hill), চা বাগান (Tea Garden), (Mountaineering Inst) এবং চিরিয়াখানা (Zoo) ইত্যাদি পরিদর্শন শেষে রাতে হোটেলে অবস্থান।
৩য় দিনঃ
★ সকালের নাস্তা শেষে রক গার্ডেন (Rock Garden) পরিদর্শন এবং সন্ধ্যায় শপিংমলে কেনাকাটা করার সুযোগ থাকছে, সেখান থেকে এসে হোটেলে রাত্রি যাপন।
৪র্থ দিনঃ
★ সকালে নাস্তা শেষে হোটেল চেক আউট করে চ্যাংড়াবান্দার উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে রওনা। চ্যাংড়াবান্দা পৌঁছে বর্ডারের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে বুড়িমারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা।
প্যাকেজেরঅন্তর্ভুক্তঃ
✅ ঢাকা-বুড়িমারী-ঢাকা এসি বাস সার্ভিস।
✅ ষ্টান্ডার হোটেল (৩ রাত)।
✅ খাবার: সকাল, দুপুর, রাত।
✅ পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস (নন এসি)।
✅ সাইটসিং।
✅ গাইড সার্ভিস।
প্যাকেজেরঅন্তর্ভুক্তনয়ঃ
✅ কোন ব্যক্তিগত খরচ।
✅ কোন ঔষধ।
✅ কোন প্রকার দুর্ঘটনা জনিত বীমা।
✅ ভিসা প্রসেসিং।
✅ সকল প্রকার টিপস।
✅ প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন সার্ভিস সমূহ।
✅ অনাকাঙ্খিত খরচ যেমন হরতাল, অবরোধ অথবা প্রাকৃতিক দূর্যোগ জনিত কারণে ইত্যাদি।
সাথে যা নেওয়া প্রয়োজনঃ
★ ঢাকার চেয়ে ঠান্ডা হাওয়ায় হালকা ও ভারী শীতের কাপড়।
★ বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে ছাতা বা রেইনকোট।
★ রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস,
★ সানক্যাপ।
★ বাইনোকুলার,
★ ক্যামেরা
★ টুথপেষ্ট
★ টুথব্রাশ
★ তোয়ালে
★ কেডস
★ স্লিপার।
★ জরুরী ঔষধ পত্র।
চাইল্ড পলিসিঃ
১। ০ থেকে ২ বছরের পর্যন্ত শিশুর জন্য কোন প্রকার খরচ দিতে হবেনা। হোটেলের বেড, গাড়ীর সিট ও খাবার বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে হবে।
২। ৩ বছর থেকে ৮ বছরের বাচ্চার জন্য সকল খরচ দিতে হবে ৮০% করে।
৩। ৮ বছরের উপরের সকলকে প্রাপ্ত হিসেবে গন্য করা হবে এবং তার সকল খরচ ১০০% করে দিতে হবে।
শর্তাবলীঃ
১। সর্বনিম্ন ৪ জন হতে হবে যেহেতু পার্সোনাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
২। গ্রুপ এবং কর্পোরেট ট্যুরের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়।
৩। আমাদের নিয়োমিত এই প্যাকেজগুলো বছরের যে কোন সময় উপভোগ করতে পারবেন। শুধু বিশেষ বিশেষ ছুটির দিন ব্যতিত যেমনঃ ঈদের ছুটি, পূজার ছুটি ইত্যাদি।
৪। প্যাকেজের মূল্য যে কোন সময়ে পরিবর্তন যোগ্য।
বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়ঃ
১। একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
২। ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
৩। ভ্রমণ সুন্দর ভাবে পরিচালনা সাপেক্ষে সবার কাছে সর্বাত্মক সহায়তা আমাদের একান্ত কাম্য।
৪। আমরা শালীনতার মধ্য থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
৫। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
৬। কোন প্রকার মাদক দ্রব্য বহন বা সেবন করা যাবে না।
৭। সর্বোপরি বাংলাদেশের সম্মান হানী হয় এমন কোন কাজে লিপ্ত হবনা। যেহেতু আপনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিঃদ্রঃ এই মূল্যের প্যাকেজ সেবা নিতে ১ মাস বা তার অধিক সময় পূর্বে বুকিং করুন।
দার্জিলিং (Darjeeling)
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি বিভাগের উত্তর-পূর্বে একটি জেলার শহর ও পৌরসভা। তবে “শৈল শহরের রানী” নামেও পরিচিত দার্জিলিং। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭,১০০ ফুট (২১,৬৪১ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত আয়তন প্রায় ১০.৫৭ কিলোমিটার, (৪.০৮ বর্গমাইল), জনসংখ্যা প্রায় ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী ১,৩২,০১৬ জন। নেপাল, সিকিম, ভুটান ও তিব্বত সীমান্তের দার্জিলিং এর অবস্থান, এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হওয়ায় দেশের অন্যান্য অংশগুলোর সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত। পর্যটনের পাশাপাশি দার্জিলিং চা এর জন্য বিখ্যাত। কালিম্পং, কার্শিয়ং ও শিলিগুড়ি হলো এই জেলার অপর তিনটি প্রধান শহর, তাছাড়া এই জেলার অপর গুরুত্বপূর্ণ শহর মিরিক একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। কাঞ্চনজঙ্ঘার অনুপম সৌন্দর্য এবং টাইগার হিলের চিত্তাকর্ষক সূর্যদয় দেখার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করে এবং তার অনাবিল সৌন্দর্য এবং মনোরম জলবায়ুর কারণে ভারতের একটি জনপ্রিয় ছুটির গন্তব্য হয়ে উঠেছে দার্জিলিং।
টাইগার হিলঃ(Tiger Hill)
টাইগার হিল পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত, এই জায়গাটি হল ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য দার্জিলিং হিমালায়ান রেলওয়ের উচ্চতম স্টেশন ঘুম শহরের সর্বোচ্চ বিন্দু। এখান থেকে মাউন্ট এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের বিস্তারিত দৃশ্যপট দৃষ্টিগোচর হয়।দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। টাইগার হিল সূর্যোদয়ের সময় নিচু উচ্চতায় সূর্যকে দেখতে পাওয়ার আগেই কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখর গুলি আলোকিত হয়ে ওঠে। টাইগার হিল থেকে সরল রেখায় মাউন্ট এভারেস্টের দূরত্ব ১০৭ মাইল (১৭২ কিলোমিটার)। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দক্ষিনে কার্শিয়াং শহর এবং কিছু দূরে দক্ষিনে তিস্তা নদী, মহানন্দা নদ, বালাসোন নদ ও মেচি নদীকে সর্পিল পথে এঁকেবেঁকে চলতে দেখা যাবে যা আপনাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করবে।
রক গার্ডেন (Rock Garden)
এটি বারবোট রক গার্ডেন নামেও পরিচিত। চুনু সামার জলপ্রপাত এবং গঙ্গা মায়া পার্কে সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি শহরে পর্যটকদের আকর্ষনে যোগ করা হয়েছে এই রক গার্ডেন টি। দার্জিলিংয়ের আরেকটি শিলা বাগান রয়েছে যা স্যারজন অ্যান্ডারসন রক গার্ডেন নামে পরিচিত যা লয়েডের বোটানিক্যাল গার্ডেন এর অংশ, বাগানটি দার্জিলিং থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাতের চারপাশে একটি মাল্টি লেভেল পিকনিক স্পট এখানকার চা বাগান, ফুলের বাগান, হৃদ, পাহাড়ের ঢালে বিভিন্নভাবে বানানো বসার জায়গা এবং পাহাড়ে ওঠা নামার রাস্তা আপনাকে অবশ্যই বিমোহিত করবে।
জঙ্গল সাফারি (Jungle Safari)
ভারতের উত্তরবঙ্গে উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চল এলাকাটি ঘন জঙ্গলের সাথে দেখা যায় দার্জিলিং এবং ডুয়ার্সের চারপাশে বিস্তৃত। এই এলাকার বিখ্যাত অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যান।টাইগার রিজার্ভ (বিটিআর) জলদাপাড়া ও মহানন্দে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। গৌরুমান জাতীয় উদ্যান গুলি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক আকর্ষণ গুলির মধ্যে একটি, আপনি যদি প্রকৃতির প্রেমিক বা বন্যপ্রাণী অন্বেষণ কে ভালোবাসেন তাহলে এই ভ্রমণ টি আপনার জন্য উপযুক্ত। যেহেতু সবুজ ঘন বন, পাহাড়, তাজা নদী, ফুল ভরা বেলী এবং বাসের তীক্ষন গুলি বিরল উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতি গুলির দেখা মিলবে যা দেখে আপনি রোমঞ্চিত হবেন।
লাটাগুড়ি (Lataguri)
লাটাগুড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর অঞ্চলের জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত একটি ছোট্ট শহর। ৩১ নং জাতীয় সড়কের উপরে অবস্থিত গরুমারা জাতীয় উদ্যানের খুব কাছে শিলিগুড়ি থেকে সড়ক পথের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার তাছাড়া রেলপথে নিউ মাল জংশনে নেমেও সড়কপথে ৩০ কিলোমিটার দূরে লাটাগুড়ি পৌঁছানো যায়। প্রকৃতি পর্যটন কে ভিত্তি করে উত্তরবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে বর্তমানে অন্যতম গন্তব্যস্থল হিসেবে লাটাগুড়ির নাম বিবেচিত হয়ে থাকে। এখানে একটি ডিয়ার পার্ক ও ছোটখাটো বেশকিছু প্রদর্শনীও আছে। লাটাগুড়ি থেকে সড়ক পথে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে মূর্তি নদীও তার নির্জন সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।
মেদলা ওয়াচ টাওয়ার (Medla Watch Tower)
মেদলা প্রহরী গৌরুমার জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত লাটাগুড়ি থেকে চালসা যাওয়ার পথে ডানদিকের বনের প্রবেশ পথ, এখানে পারমিট চেক করা এবং এন্টি রেকর্ড করা হয়। পরে গেট খুলে তারপর ঘন জঙ্গলের মধ্যেমে বনজীবী রোড শুরু হয়, এই রোড বরাবর জঙ্গলের দৃষ্টিশক্তি বিস্ময়কর। হরিণ, ময়ূর এমনকি হাতি ও মাঝে মাঝে দেখা যায় এই ড্রাইভের সাথে। এন্টি গেট থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে বনভূমিটি বেষ্টিত, যাদবপুর চা বাগানের বিশাল বিস্তৃত দৃশ্য এখানে বিস্ময়কর। এছাড়াও এখানে একটি জাতিগত নাচ এলাকা রয়েছে যেখানে ট্রিপ শেষ সময় উপজাতির নাচের অনুষ্ঠান হয় চাইলে তা উপভোগ করা যায়।
কালিম্পং (Kalimpong)
কালিম্পং নামের সঠিক উৎস অজ্ঞাত। সর্বজন গ্রাহ্য মত হলো তিব্বতি ভাষায় কালিম্পং, মানে রাজার মন্ত্রীদের সভা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শৈল শহর নিম্ন হিমালয়ে অবস্থিত।কালিম্পং এর গড় উচ্চতা ১২৫০ মিটার (৪,১০১ফুট) মোট আয়তন প্রায় ১০৫৬.৫ কিলোমিটার (৪০৭.৯ বর্গ মাইল) জনসংখ্যা প্রায় ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী ৪৯,৪০৩। কালিম্পং তিস্তা নদীর ধারে একটি শৈল শিলার উপর অবস্থিত। এখানকার মনোরম জলবায়ু ও সহজ গম্যতা একে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র করেছে। এখানে নানা প্রকার অর্কিড দেখা যায়, এখানকার নার্সারিগুলোতে হিমালয়ের ফুল, স্ফীতকন্দ (Tubers) ও রাইজোমের ফলন চলে। কালিম্পং এর অর্থনীতিতে এই ফুলের বাজার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সিলারিগাঁও (Sillery Gaon)
সিলারিগাঁও ভারতের পশ্চিম রাজ্যের কালিম্পং জেলার একটি ছোট গ্রাম প্রায় ৬,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি স্থানিয় ভাবে নতুন দর্জিলিং নামেও পরিচিত। সিলারি নামের সাথে জড়িত অনেক পুরান এবং কিংবদন্তি আছে। এটি শিলের শব্দ থেকে প্রাপ্ত একটি পোটমান্ডাউ বলে মনে করা হয়। এটি একটি উদ্ধিদ যা এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পায়। সিলারি এলাকা মাউন্ট এর প্রস্তাব উপলব্দ করা হয় কাঞ্চনজঙ্গা এবং এর সহযোগী শিখর। সিলারি গৌন পরিদর্শনকারী পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণ সাংচেন দার্জী মঠ যা পডংয়ের ভুটান শাষণের সময় নির্মিত হয়েছে। যা দেখার জন্য প্রতি বছ হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভির করে।